শনিবার ১১ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৭ ১৪৩১ ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
চরম দুর্দিনে রাজনৈতিক সংকট অতিবাহিত করছে বিএনপি। আর তাই সুদিন ফেরাতে রাজপথে আন্দোলনের কথা ভাবছে দলটি। গত এক যুগে বড় দুটি আন্দোলনে ব্যর্থ হলেও এবার সফলতা চায় বিএনপি। তবে আসন্ন শীতের জন্য অপেক্ষা করছে দলটি। আর তাতে একমত হতে পারছে না তৃণমূল।
তারা বলছে, পরিস্থিতি আন্দোলনের দাবি করলেও কেন্দ্র অপেক্ষা করছে শীতের জন্য। যদি শীতের জন্য অপেক্ষা করে তবে দলে আরও শীতলতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নেতাদের মানসিকতা শীতল হয়ে পড়লে আন্দোলন গড়ে তোলাকে অসম্ভব মানছেন তারা।
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, একটি ‘বড়’ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে দলে যে সমস্যা, তা বহুলাংশেই কেটে যাবে। কিন্তু শীতের জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে না তৃণমূল। তাই আমাদের ইচ্ছা আছে সংগঠন পুনর্গঠন করে আগামী জানুয়ারি অর্থাৎ শীত মৌসুমে বিরতিহীন আন্দোলনে নামবো।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, টানা ১৩ বছর দল ক্ষমতায় না থাকার কারণে নেতা-কর্মীরা হতাশ। দলের চেয়ারপারসনের কারাবাস নেতা-কর্মীদের হতাশা আরও বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় করণীয় কী, তার সমাধান বের করতে দলের নীতিনির্ধারকরা প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার বসছেন। তারা আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। কিন্তু কেন্দ্রের ধীরগতির নীতিতে আস্থা রাখতে পারছে না তৃণমূলের নেতারা।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলে জনপ্রিয় বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু বিএনপির সামনে নেই- এটি সত্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারণা, একটি বা একাধিক ইস্যুতে একটি ‘বড়’ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। তখন ক্ষমতাসীন ও সাধারণ জনগণ বিএনপির সামর্থ্য, শক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবে। কিন্তু ‘বিপুল’ জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও দলটির নেতৃত্বে আন্দোলন না হওয়ায় দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। আরো দেরি করা হলে বিএনপির আন্দোলন ভাগাড়ে পড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৪ ও ২০১৫ সালে দুই দফা বড় আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে সাংগঠনিকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দলটি। যা কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিএনপি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়