মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০১৮
৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইসির একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে সংলাপের আহ্বান সাড়া দিয়ে প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আরও রাজনৈতিক দলকেও সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।
শনিবার জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কাদের সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় বলেন, “আট তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, সাত তারিখে শেষ করব। সাত তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়।” শুক্রবার বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণভবনে।
মোট ৮৫টির মতো দল আলোচনায় বসার সুযোগ চেয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, “সব মিলিয়ে ৮৫টার মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।”
গত বৃহস্পতিবার সংলাপ শুরুর দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা। সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ৪ নভেম্বর রোববার ইসির বৈঠকে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
সংলাপে বিএনপির অসন্তুষ্টির কথা জানানো হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ‘ভালো আলোচনা হয়েছে’। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।
“গতকাল বিকল্পধারার ওনারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেওয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না, সেগুলো।
“বিকল্প ধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও বলেছেন।” কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে। কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। “আমরা সতর্ক আছি; কারণ কারও মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি।”
“আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্ততিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি,” বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়