মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ৪ ১৪৩০ ০৯ রমজান ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
নির্বাচন আসলেই একটা কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে মিডিয়া, লোকমুখে সব জায়গায় ছেয়ে গেছে এই কথা। আর তা হলো ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো। এটা সব আসনের জন্যই যেমন প্রযোজ্য তেমনি নওগাঁ-৪ আসনের ক্ষেত্রেও সত্য। এই আসনে বিএনপি প্রার্থী হলেন সামসুল আলম প্রামাণিক। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এই অলঙ্ঘনীয় কথাটি কতটুকু প্রযোজ্য?
নওগাঁ জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে মোট ৬টি আসন। আর এই আসনে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। আর সেই প্রতিযোগিতা হলো মামলা নিয়ে! নওগাঁ জেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আছে ১৯টি মামলা। তার মধ্যে ১১ টি মামলা নিয়ে শীর্ষ আসন ধরে রেখেছে আব্দুল মতিন। নির্বাচন প্রার্থী সামসুল আলম প্রামাণিকের ছত্রছায়ায় মতিন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ভূমি লুট, টেন্ডারবাজি সহ বিভিন্ন ধরণের সহিংস কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন। এলাকার জনগণ মনে করেন এর সাথে সামসুল আলম প্রামাণিক সরাসরি জড়িত। এছাড়াও তার নামে লুটপাট, মাদক ব্যাবসার অভিযোগও রয়েছে। জনগণ চায় একজন ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থীকে যিনি জনগণের সেবায় কাজ করে যাবেন। আগামী ৩০ তারিখ নির্বাচনে জনগণ যখন ভোট দিতে যাবে তখন হয়তো 'আমরা ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো' এই বিষয়টি মাথায় রাখবে না। ভোটটা নিশ্চিতভাবেই সামসুল আলম প্রামাণিকের ব্যালটে পরবে না।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়