সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৫ ১৪৩১ ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
নওগাঁ দর্পণ ডেস্ক :
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৩
জয়পুরহাটে অনাবাদি ও পতিত জমিতে বাগান করে সংসারে নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে বসবাস করা স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে পারিবারিক চাহিদাসহ বিক্রিও করছেন তারা।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কারিগরি সহযোগিতায় সড়কের পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা।
গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী সোহেল, রুশি খাতুন, ময়দা বেগম, লিচু পাহান, নির্মল রবিদাস, কুলসুম ও জয়নুল আবেদীন জানান, সরকারের দেওয়া ঘরের পাশাপাশি পতিত থাকা দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়না। ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকা মাকড় দমন করা হয়। পুষ্টি বাগানে রয়েছে মরিচ, লাল শাক, শিম, লাউ, বরবটি, বেগুণ, পুঁইশাক, ধুন্দল, কলমি শাক, ঢেঁড়স, করলা ইত্যাদি।
এ ছাড়াও জমির চারপাশ দিয়ে কলা, আম পেয়ারা, জাম ও লিচুর গাছ লাগানো হয়েছে। পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন।
এক ইঞ্চি জায়গা যেন পড়ে না থাকে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক ভাবে পুষ্টির বাগান স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ টা করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক।
বসত বাড়ির আঙ্গিনার পাশাপাশি বিশেষ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যেখানে পতিত জমি রয়েছে সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিবারের নিরাপদ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়