শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৪ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নওগাঁ দর্পণ ডেস্ক :
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৩
হাতের কাছে খুব সহজেই যেটি পাওয়া যায় তা হলো ডিম। সহজলভ্য হওয়ায় প্রায় সবাই কম-বেশি খেয়ে থাকেন এটি। পুষ্টিকর এই ডিমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ভালো ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। এ কারণে ডিমকে সুষম খাদ্যও বলে থাকেন অনেক পুষ্টিবিদ।
ডিম নানাভাবে খাওয়া হয়। কেউ অমলেট, কেউ মামলেট, কেউ সেদ্ধ ডিম, আবার কেউ ভুনা বা কারি হিসেবে খেয়ে থাকেন। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, এটি ঠিকই পুষ্টি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই ডিম নিয়েও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই দাবি করেন, কাঁচা ডিমে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ডিম খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। কেউ কেউ আবার হাফ সেদ্ধ ডিমের কথাও বলেন। কিন্তু আসলেই কি তাই?
কাঁচা এবং হাফ সেদ্ধ ডিম উপকারী না ক্ষতিকর, এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। এবার তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী ডিম সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
এ পুষ্টিবিদ জানান, অনেকেই কাঁচা ডিমের প্রশংসা করে থাকেন। তারা কাঁচা ডিম খেয়েও থাকেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাঁচা ডিম খেলে শরীরে উপকারের বিপরীতে ক্ষতি হবে। এই অভ্যাসের জন্য নানা রোগে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।
নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা : কাঁচা ডিম খেলে শরীরে সালমোনেল্লা বা ওই জাতীয় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একবার যদি ওই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে তাহলে সমস্যার শেষ থাকবে না। এসব কারণে পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া ও বমির মতো সমস্যা হয়ে থাকে। আবার ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়ানকও হতে পারে। এ জন্য সুস্থ-সবল থাকতেই কাঁচা ডিম থেকে দূরত্বে চলে যাওয়া উচিত।
অ্যাভিডিন সমস্যা : কাঁচা ডিমে অ্যাভিডিন নামক উপাদান থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই উপাদানের কারসাজিতে শরীর প্রয়োজনীয় বায়োটিন নামক ভিটামিন গ্রহণ করতে পারে না। ফলে নানা জটিল সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলা উচিত।
হাফ সেদ্ধ কি খাওয়া উচিত : অনেকেই হাফ সেদ্ধ বা হাফ বয়েল ডিম পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদ শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়ের মতে, কাঁচা ডিমের মতো হাফ সেদ্ধ ডিম একই ধরনের সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা রাখে। এ জন্য হাফ সেদ্ধ ডিমও খাওয়া উচিত নয়। পুরোপুরি ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া ডিম খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে।
প্রতিদিনই ডিম : এ পুষ্টিবিদের কথায়, যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি দিনে একটা করে ডিম খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস, প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মতো পুরো ডিম খাওয়া উচিত নয়। তারা ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। সুত্র-চ্যানেল২৪
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়