অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি কৌশল ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি
জুনাইদ আহমেদ পলক
প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০
বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশ। অনেক আগেই ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের উপরে। দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই সাফল্যকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা নানাভাবে ব্যাখ্যা করছেন। বিশ্বব্যাকের South Asia Economic Focus, Making (De) Centralisation Work’ এর সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশ।
এর আগে ২০১৮ সালে এইচএসবিসি গ্লোবাল সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়, ২০৩০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক র্যাংকিং-এ বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২৬ তম। বর্তমান অবস্থান ৪২তম। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ড (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনেও দেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি ও সাফল্যের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ম্যাজিক বা রহস্য কী? এর উত্তর খুঁজলে বর্তমান সরকারের নানা ইতিবাচক উদ্যোগের কথা সামনে চলে আসবে। এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনা হওয়া দরকার সেটি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি কৌশল। এ নীতি শুধু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নয়, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করায় বড় অবদান রাখছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি কৌশল প্রয়োগের কারণে ২০১১ সালে প্রবল বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার (২০০৮ সাল থেকে যার শুরু) মধ্যেও দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধারা অব্যাহত থাকে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানের তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সাম্প্রতি প্রকাশিত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই)। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪ তম। বাংলাদেশের পরে রয়েছে ভারত (৬২), পাকিস্তান (৫২), (শ্রীলঙ্কা (৪০)।
একথা আজ অনস্বীকার্য যে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর্থিক প্রযুক্তির বর্ধিত ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অন্তর্ক্তুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে শক্ত অবস্থান তৈরিতে ভুমিকা রেখেছে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির কারণে অর্থব্যবস্থায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটছে যা মূলত টেকসই উন্নয়নের অনুঘটক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রমের দিকে চোখ ফেরালে সরকারের ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এর মূল উপজীব্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এর দ্বিতীয় স্তম্ভে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়। এতে বলা হয় ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং অর্থপূর্ণভাবে নাগরিকদের সংযুক্ত করা’র কথা। অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা সহজলভ্য করে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমেই এটা সম্ভব।
এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় নীতিমালা ও অবকাঠামো তৈরির। সেজন্য ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রথমে নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বাস্তবায়ন শুরু হয় গ্রাম থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর গভীর উপলব্ধি থেকেই ‘বটম আপ অ্যাপ্রোচ’ পদ্ধতি অনুসরণ করে তৃণমূল থেকে ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং এবং সাহসী উদ্যোগ গ্রহণের মূলে কাজ করেছে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়ে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো। যে কোন সমাজ বা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ করে দেওয়া হলে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন হিসেবেই বিবেচিত হয়। আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের বাস গ্রামে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপন করা হয়। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড মিলে বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ৫৮৬৫টি।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হয় ইউনিয়নগুলোতে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, দ্বীপ এমনকি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মহেশখালী দ্বীপের মানুষ ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সেবা পাচ্ছে। হাওড় এলাকার মানুষকে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকার ৭৭২টি ইউনিয়নে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কানেক্টিং বাংলাদেশ প্রকল্পের। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণার আগে গ্রামে বসে ডিজিটাল সেবা পাওয়ার কথা কেউ কল্পনাও করেনি। অথচ আজ শুধুমাত্র ডিজিটাল সেন্টার থেকেই ১৫০ ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রদান করা হচ্ছে।
বিগত এক দশকে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লক্ষ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজের আওতায়। মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৬ কোটি ৪১ লক্ষ ৭০ হাজারে উন্নীত হয় (অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত)। একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৫ হাজার।
আমানত ও ঋণের মতো মৌলিক আর্থিক আর্থিক সেবাপ্রাপ্তি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিতার অন্যতম নির্ণায়ক। আর্থিক ব্যবস্থায় সব শ্রেণির মানুষের অন্তর্ভুক্তি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক সেবার বাইরে থাকা প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষকে আর্থিক সেবাভুক্তি (Financial Inclusion) কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য ২০১১ সালে উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে গ্রাম, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায়। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছে। মেবাইল ব্যাংকিং এখন অলটেরনেটিভ পেমেন্ট চ্যানেল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন দেয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৫৫ লাখ।
বাংলাদেশের মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সহজ ও টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৫২ লাখ এবং গ্রাহকরা ৭ কোটি টাকা টাকা জমা রাখে। দেশের ৩৮০০ ডিজিটাল সেন্টারে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু আছে। বিভিন্ন ব্যাংক সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে (ইএফটি) ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আর্থিক সেবাভুক্তি কার্যক্রমে মোবাইল এবং এজেন্ট ব্যাংকিং যুগান্তকারী ঘটনা এবং এর সুফলভোগীদের বেশিরভাগেরই বাস গ্রামে।
ই-গভর্মেন্ট প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ এবং সরকারের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি তথ্য ও সেবা ইন্টারঅপারেবল (আন্ত:পরিবাহী) করার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্মার্ট কার্ড, ইউনিক আইডি’র বায়োমেট্রিক ডাটা বেইজ সেবা প্রদানকে সহজ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডিজিটাল আইডি প্রদান করেছে। মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতীয় তথ্যবাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এ তথ্যবাতায়নে ৪৫ হাজার ওয়েবসাইট ও সরকারি বিভিন্ন সেবা রয়েছে। ৬০০-রও বেশি সরকারি সেবা ডিজিটাইজড করে তাতে নাগরিকেদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগের বাস্তবায়নের ফলে জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের বড় উত্তরণ ঘটে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের ই-গভর্মেন্ট কার্যক্রম নিয়ে দুই বছরের অগ্রগতি বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে ৯ ধাপ আর ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের ৩৩ ধাপ উন্নতি হয়।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম আরও ব্যাপকভিত্তিক করার পরিকল্পনার কথা মানুষ জানতে পারে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে। এ বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় ‘আমার গ্রাম- আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ’ অংশে গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে। সুপরিকল্পিতভাবে ‘আমার গ্রাম- আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে সব মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে নাগরিক অধিকার ও নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ায় অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
রূপকল্প ২০২১ এর অবিচ্ছেদ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর বাস্তবায়ন দেশের মানুষের সামনে সম্ভাবনার তোরণ দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২০১৫ সালেই বিশ্বব্যাংকের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে একটি জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, পরামর্শ ও তদারকিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং রূপকল্প ২০৪১ -এ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথকে মসৃণ করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি উন্নয়নকে করবে টেকসই।
# জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
নওগাঁ দর্পন- আত্রাইয়ে টি-আর কর্মসূচির আওতায় নগদ অর্থ ও ট্রেজারী বিল বিতরণ
- নিয়ামতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- রাণীনগরে ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণের উদ্বোধন
- রাণীনগরে মাদকের ৭ মামলার আসামী আটক
- মহাদেবপুরে ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
- বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় আমিরাত
- জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশ
- পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ॥ দাম কমছে
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে
- আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী
- গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল
- শেয়ার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১শ কোটি টাকা
- আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা
- রোহিঙ্গাদের জন্য আরো তহবিল সংগ্রহ করুন
- উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন
- সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা
- টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু
- অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী
- স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং
- বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা
- টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- নওগাঁ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
- পোরশায় হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
- মহাদেবপুরে বাস চাপায় শিশুর মৃত্যু
- রাণীনগরে জুয়ার আসরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে তিনজনকে কারাদন্ড
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- নওগাঁবাসীর জন্য ১২০ পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- কাঁচা এবং হাফ সেদ্ধ ডিম কি আসলেই উপকারী, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
- মাত্র ৫ হাজার টাকায় শুরু করুন, দারুন লাভজনক এই ব্যবসাগুলো
- কবে সম্মানি ভাতা পাবেন মুক্তিযোদ্ধা শতবর্ষী বাঘা মাঝি’র!
- যে শোকে বাংলার ইতিহাস কাঁদে
- প্রেম-বিয়ে-খুন-মিন্নি এবং আমাদের বরগুনা
- Wazed Miah: An ever-shining lighthouse
- করোনা সঙ্কট: সম্মিলিত শৃঙ্খলায় আমাদের যুদ্ধ জয়
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- করোনাকালে আমার কিছু প্রশ্ন
- করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই
- অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
- ইতিহাসে আজকের এই দিনে
- করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর উৎপাদিত কিট ও কিছু সহজ প্রশ্ন
- ‘স্বল্পমূল্যে মিলাদ পড়ানো হয়’
- আষাঢ়ের গল্প
- ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছে না বিএনপি
- রোহিঙ্গারা ফুটবল, বাংলাদেশ খেলার মাঠ, চীন মূল খেলোয়াড়