শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ বৈশাখ ২০ ১৪৩১ ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
নওগাঁয় মজুত বিরোধী অভিযানে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত ধান ও চালের মজুত রাখায় ১০ জন ব্যবসায়ীকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মজুতকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতু এবং ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানা করেন।
রাতে জেলা প্রশাসকের মিড়িয়া সেলে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
জানা গেছে, জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মন ধান মজুদ করায় জাহাঙ্গীর শেখ নামক এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা এবং নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মন ধান অবৈধভাবে মজুদ করায় রুহুল আমিন নামক এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অপরদিকে- সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন ধান মজুদের দায়ে দুই জন ব্যবসায়িকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ধামইরহাট উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন ধান মজুদের দায়ে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর ১৯ ধারায় দুই জনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুদ রাখা ও লাইসেন্স বিহীন রাইস মিল পরিচালনায় চারজন মিল মালিককে ৪টি মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে সকল মালিককে মজুদকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেওয়া হয়।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, অভিযানে ধান ও চালের দাম কমার প্রভাব পড়েছে। সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্না-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়