মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ৫ ১৪৩০ ০৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০
নওগাঁয় চতুর্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনিত হয়ে রানীনগর, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি।
রানীনগর, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৭টি স্থানের ভাঙা অংশ মেরামত না করায় ওই অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে জেলার বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনিত হয়েছে।
প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। শতশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ উজ্জামান খান জানিয়েছেন, আত্রাই ও যমুনা নদীর পানি একটি পয়েন্টে কমলেও অন্য সব পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, আত্রাই নদীর পানি ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, মহাদেবপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার, মান্দা জোতবাজার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার এবং আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট যুমনা নদীর বাঁধ বদলগাছি ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, ইতিমধ্যেই বন্যা দুর্গত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
তবে বন্যা কবলিতরা জানান, ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়