মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৪ ১৪৩১ ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের সবজি উৎপাদনের অন্যতম জেলা হিসেবে ধরা হয় নওগাঁকে। উত্তরাঞ্চলের জেলায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয় তা এ জেলায় বেশি হয়।
আশেপাশের জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হয় সারাদেশের। বিশেষ করে বেগুন, পটল, সিম, আলু, শসা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি বছরজুড়েই চাষ হয়ে থাকে নওগাঁয়।
এবার সেই উৎপাদিত সবজি তালিকায় যুক্ত হয়েছে রঙিন ফুলকপি। নওগাঁর বেশ কয়েকটি সবজির মাঠেই চাষ হচ্ছে বেগুনি এবং হলুদ রঙের ফুলকপি। সাধারণ সাদা ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপি চাষ খুব সহজ। চাষ পদ্ধতির তেমন একটি তফাত না থাকলেও খরচ লাগে কম। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এসব কপি।
হলুদ ও বেগুনি রঙের এসব কপির তুলনামূলক চাহিদাও রয়েছে অনেক বেশি। কেউ নতুন বলেই আগ্রহভরে কিনছেন আবার কেউ পুষ্টিগুণ বিবেচনায় কিনে খাচ্ছেন এসব ফুলকপি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে মাঠ থেকেই।
সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের কৃষক জালাল হোসেন এবার প্রথম বারের মতো চাষ করেছেন রঙিন ফুল কপি। প্রায় ১২ শতক জমিতে হলুদ ও বেগুনি রংঙের কয়েকশ গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার হলেও ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
কৃষক জালাল বলেন, এসব কপির সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে সার, সেচ ও কীটনাশক তুলনামূলক অনেক কম প্রয়োজন হয়। সাদা ফুলকপিতে যা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। কৃষক যদি এই রঙিন কপি চাষ করতে চায় তাহলে বড় অঙ্কে লাভবান হওয়া সম্ভব রয়েছে। এই মৌসুমে শুরুতেই একেকটি কপি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা পর্যন্ত। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৪০ টাকায়। যদিও খুচরা বাজারে এসব কপির দাম আরও বেশি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, অন্য কপির চেয়ে রঙিন ফুল কপির স্বাদ অনেক বেশি। আর নতুন হওয়ায় ভোক্তার কাছে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। আর তাই বাজারজাতের ঝামেলা কম। কেবল নওগাঁ জেলার অন্তত ১৯ জন চাষি এবার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, শুধু নওগাঁতেই নয়। আশপাশের জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও নাটোরসহ বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলেই রঙিন ফুলকপিতে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়