শনিবার ০৪ মে ২০২৪ বৈশাখ ২১ ১৪৩১ ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৩
শষ্যভান্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁয় কমেছে চালের দাম। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম কমেছে বলে মন্তব্য ব্যবসায়ীদের। ১৫ দিনের ব্যবধানে মোটা চাল (স্বর্ণা-৫) ও সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমেছে। তবে কাটারিভোগ ও নাজিরশাইল (পাইজাম) চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সুগন্ধি চিনিগুঁড়া (আতব) জাতের চাল ১৪০ টাকা কেজি।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাউল বাজার সূত্রে জানা যায়, মোটা জাতের চাল (স্বর্ণা-৫) প্রতি কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪৫-৪৬ টাকা, ব্রিআর-২৮ ও ২৯ জাতের চাল ৫৬-৫৭ টাকা ও জিরাশাইল ৬৪-৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নাজিরশাইল (পাইজাম) ৭০-৭২ টাকা ও কাটারিভোগ ৬৮-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সুগন্ধি চিনিগুঁড়া (আতব) জাতের চাল প্রতিকেজি ১৩০-১৪০ টাকা। গত কয়েক দফা বেড়ে আতবের সর্বোচ্চ দাম এটা।
আনন্দ নগর মহল্লার শ্রমজীবী নারী রেবেকা বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে চালের দাম কিছুটা কমেছে। চালের দাম কমলে কী হবে, ভাত কি খালি খালি খাবো? ভাতের সঙ্গে আরও কিছু লাগে। সবজি, মাছ, ডাল, তেল ও ডিম সবকিছুর দাম বেশি। একটা কমলে আরেকটার দাম বেশি হয়। মাঝখানে শুধু আমরা গরিবরা চাপাচাপির মধ্যে পড়ি।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী আক্কাস আলী বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চাল মজুত করায় কিছুদিন আগেও বাজার ঊর্ধ্বমূখী ছিল। যে পরিমাণ চালের প্রয়োজন ছিল ব্যবসায়ীরা তা দিতেন না। কিন্তু এখন বেশি করে চাল দিতে চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গম কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে এবং বোরো আবাদে পরিচর্যা চলায় তারা মজুতকৃত চাল বাজারে ছাড়ছেন। এ কারণে গত ১৫ দিনে চালের বাজার কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে।
আরেক খুচরা ব্যবসায়ী বাবু প্রামাণিক বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে চালের বাজার মন্দা যাচ্ছে। বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য। বেচাকেনার পরিমাণ খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা চাল কিনছেন না। আমনের ধান অনেকের ঘরে থাকায় ক্রেতারা এখনও বাজারমুখী হয়নি। এ কারণে চালের বাজার নিম্নমুখী। আবার সামনে রমজান মাস তখন আরও বেচাকেনা কমে যাবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়