রোববার ১৯ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১ ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
নওগাঁয় শুরু হয়েছে ইরি-বোরো রোপণ কার্যক্রম। মাঘের শীত উপেক্ষা করে চলছে জমি প্রস্তুত ও রোপণ। তবে শীতের ঠান্ডা ও কুয়াশায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শ্রমিক ও চাষিদের। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১২ লাখ ৮৫ হাজার ২১৫ টন ধান উৎপাদনের আশা। জেলার ৮৮ হাজার জন কৃষককে ৫ কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। জিরাশাইল, ব্রিআর-২৮, সুবর্ণ লতা ও হাইব্রিড জাতের ধান লাগানো হচ্ছে।
মাঘের শীত উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন মাঠে জমি প্রস্তুত ও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। এ বছরের শুরু থেকে হাড় কাঁপানো শীতের ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে জমি রোপণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। বাড়তি মজুরিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে চাষিদের।
কৃষক মোকাদ্দেস মকুল বলেন, এক ফসলি জমিতে বছরে ২৩-২৫ মণ ফলন হয়। যা বাজারে বিক্রি হয় ১১শ-১২শ টাকা মণ।
কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, শীতের ঠান্ডা ও গ্রীষ্মের তাবদাহের মধ্যে কষ্ট করে ধার-দেনা ও দোকানে বকেয়া করে ফসল উৎপাদন করতে হয়। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই ফসল ঘরে উঠবে ইনশাল্লাহ।
গাইবান্ধা জেলা থেকে বোরো জমিতে চারা রোপণের জন্য এসেছেন শ্রমিক নয়ন। তিনি বলেন, এলাকায় কাজ না থাকায় এখানে আসা। প্রতিদিন জমিতে চারা রোপণে ৫০০-৬০০ টাকা মজুরি পাওয়া যাচ্ছে। আমার মতো প্রায় ১৫০ জন এসেছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা কৃষি উপকরণ স্বল্প মূল্যে বা ভর্তুকির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় ১০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বীজতলা তৈরি হয়েছে। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়াসহ বোরো আবাদে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ভালো ফলনের আশা বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়