সোমবার ০৬ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৩ ১৪৩১ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২৪
নওগাঁর ধামইরহাটে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দিয়ে ৪৫ বছরের সীমান্তের ভূমি বিরোধ স্থায়ী ভাবে সমাধান করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে পত্নীতলা (১৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি সময়ের আলোকে বলেন, গত রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ২৫৭/১৭-আরবি হতে ২৫৮/১-এস পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ জরিপ কার্যক্রমের জন্য উভয় দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) জরিপ ও চার্জ অফিসারের উপস্থিতিতে সীমান্ত পিলার ২৫৭/১৯-আরআই এর কাছে ভারতের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পত্নীতলা-১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি এবং ভারতীয় (বিএসএফ) সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষে ১৬৪ ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক আরপিএস রাঠ্ঠির সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ভারতীয় ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের উপ অধিনায়কের উপস্থিতিতে উভয় দেশের ল্যান্ড সার্ভেয়ার কর্তৃক বিরোধপূর্ণ জমির জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এবং চূড়ান্তভাবে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা শেষে বিরোধপূর্ণ ভূ-খন্ডটি বাংলাদেশের পুনরায় নিশ্চিত হলে উভয় দেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি শূন্য লাইন চিহ্নিত করে ১০টি পিলার স্থাপন করেন। পিলার স্থাপনের মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের বিরোধপূর্ণ ভূ-খণ্ডের নিষ্পত্তি হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২৫৭/২০-আর হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে প্রায় এক একর জমি ১৯৭৭ সাল হতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পক্ষ থেকে ভোগদখলে বাধা দিয়ে আসছিল। এ প্রেক্ষিতে গত বছরের ১২ এপ্রিল সীমান্ত পিলার ২৫৭/২০-আর এর নিকট বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের জেলা পর্যায়ের ল্যান্ড সার্ভেয়ার প্রাথমিকভাবে বিরোধপূর্ণ জমির বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও জরিপকার্য পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিনে জরিপ শেষে দেখা যায়, বিরোধপূর্ণ জমিটি বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড। এ ব্যাপারে বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে আশ্বস্ত করেন যে, বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট এর উপস্থিতিতে উভয় দেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে জরিপকার্য সম্পন্ন করা হবে। এরই ভিত্তিতে ওই বিরোধপূর্ণ স্থানে পিলার বসিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধপূর্ণ ভূ-খণ্ডের নিষ্পত্তি হয়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়