দেশে চালু হচ্ছে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট, চিকিৎসায় বিপ্লব
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২
বিশ্বের অনেক দেশে এটি জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি যেন এখনো একটা ‘ট্যাবু’। ব্রেন ডেথ বা শুধুমাত্র হার্টবিট ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করছে না এমন একজন রোগীর শরীর থেকে অন্তত ১০ রকমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে অন্য একজন মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন। আর এই প্রক্রিয়াকেই বলে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট।
চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্রেন ডেথ রোগীর দুটি কিডনি দুইজনকে, একটি লিভার একজনকে, দুটি ফুসফুস দুইজনকে, হৃদযন্ত্র একজনকে, অন্ত্র একজনকে, অগ্ন্যাশয় একজনকে দান করা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। বরং ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টটি অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। তাই জনস্বার্থে এ বছরের মধ্যেই দেশে চালু হতে যাচ্ছে এই চিকিৎসা কার্যক্রম। যার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে চালু করলেই হবে না অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ে দেশে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি এটির বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে না পারলে তা অকার্যকরই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম জীবিত ব্যক্তির কিডনি বিকল কিডনি রোগীর উরুর ওপরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ’৬০-এর দশক থেকে জীবিত ব্যক্তির কিডনি সরাসরি বিকল রোগীর পেটের নি¤œাংশে চামড়ার নিচে (উরুর ওপরে) প্রতিস্থাপন করে মূত্রনালীকে প্রস্রাব থলিতে এবং রেনাল শিরা ও ধমনি ইলিয়াক শিরা ও ধমনিতে যুক্ত করে দেয়া হয়।
কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিস্থাপিত কিডনি কার্যকর হয় এবং রোগী প্রস্রাব করা শুরু করে। পুরো অপারেশনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি কিডনি দান করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। এরপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় নানা ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন। এর মধ্যে লিভার, ফুসফুস, লাংস ট্রান্সপ্লান্ট বিশ্বের অন্যান্য দেশে অহরহই হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশে কিছুটা সামাজিক ট্যাবু এবং কিছুটা আইনের জটিলতার কারণে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টা এতটা প্রচলিত হতে পারেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন জনপ্রিয় হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছিল লিভার প্রতিস্থাপনও। কিন্তু সম্প্রতি এটিও বন্ধ রয়েছে। তবে শুধু লিভার নয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ অন্তত ৮টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন কার্যক্রম চলতি বছরই শুরুর কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ব্রেন ডেথ একজন রোগী থেকে আট জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক একটি মহৎ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যেদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন তেমনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বিএসএমএমইউতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পুনরায় শুরু হবে। আমরা এ বছরের মধ্যেই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট বাস্তবায়ন করতে চাই।
লিভার ও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শুরু করতে আপনাদের প্রস্তুতি কতটুকু রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একজন ব্রেন ডেথ রোগী ২টি কিডনি ২ জনকে, ১টি লিভার ১ জনকে, ২টি লাং ২জনকে, হৃদযন্ত্র ১জনকে, অন্ত্র ১জনকে, অগ্ন্যাশয় ১জনকে দান করে জীবন বাঁচাতে পারেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতি মাসে পৃথক ইনস্টিটিউটে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করব, কাদের কাছে করব, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বুঝাতে পারব।
এক্ষেত্রে আইনের কোনো জটিলতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের যেটুকু সীমাবদ্ধতা ছিল তা ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়েছে। এখন আইনের কোনো জটিলতা নেই। তবে এটির উপকারিতা সম্পর্কে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতারা যদি মসজিদ-মন্দিরে বা বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করেন এবং একজন মানুষের শরীরের অঙ্গ দিয়ে আটজন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপকারিতা বোঝাতে সক্ষম হন তাহলে এই কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি বছর মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ জন বিকল কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। শ্যামলীর সেকেডি সেন্টারে অধ্যাপক কামরুল বছরে একাই ১৫০ জনের বিকল কিডনি রোগীর সফলতার সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। এর বাইরে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ৫০০ বিকল কিডনি রোগী ভারত ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করাচ্ছেন, এতে প্রতি রোগীর ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়।
বিত্তশালীরা সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করান। সেখানে ব্যয় হয় এক থেকে তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশী রোগীরা কেবল কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট চালু হলে যা অনেক কমে আসবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ২০১৮ সালের সংশোধিত মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯-এর পরিধি অত্যন্ত সীমিত। এই আইন মৌলিক অধিকারের বড় খেলাপ। জীবিত অনাত্মীয় থেকে অঙ্গদানের ব্যবস্থা আইনে নেই। দেশে মানুষের জীবনকাল বেড়েছে, অথচ দাতা ও গ্রহীতার বয়স ৬৫ থেকে ৭০ বছরে সীমিত করা হয়েছে। তারা বলছেন, অনুন্নত দেশে মৃত ব্যক্তি থেকে অঙ্গ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সহজ নয়।
তাই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট খুব সহজেই জনপ্রিয়তা লাভ করার সুযোগ কম বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, কয়েক যুগ ধরে পুরো পৃথিবীতেই অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম কিডনি বিকল হওয়া, লিভার সিরোসিস, হার্ট ফেইলিওর অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০-৪৫ হাজার নতুন রোগী বিকল কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু আমরা যেহেতু এখনো মরণোত্তর দেহ দান বা ব্রেইন ডেথ রোগীর স্বজনদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষমতা তৈরি করতে পারি নি সেহেতু এই কার্যক্রম এতটা সহজ হবে না বলে আমার মনে হয়। তবে যদি এটি চালু করা যায় বা কোনোভাবে কার্যক্রমটিকে জনপ্রিয় করা যায় তাহলে যে মানুষটি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্লিনিক্যালি ডেথ ডিক্লেয়ার হয়েই থাকে তার শরীর থেকে বিভিন্ন অর্গান অন্য আরেকজন রোগীকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে পারবে।
তবে কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে এটি নিয়ে তৈরি করতে হবে ব্যাপক সচেতনতা। অন্যথায় অন্য পদক্ষেপগুলোর মতোই এটিও নামকাওয়াস্তেই রয়ে যাবে। আইন যেটি সংশোধন করা হয়েছে এটিকে প্রয়োগ উপযোগী করতে হবে। বাংলাদেশে যদি এটি শুরু করতে পারি তাহলে একটি পর্যায়ে এটি জনপ্রিয় করা সম্ভব। যেমন চোখের কর্নিয়া দান শুরুর সময়েও এটি অনেকে চায়নি। কিন্তু বর্তমানে এটি অহরহই হচ্ছে। তাই প্রয়াসটা বা প্রচেষ্টাটা আমাদের এখনি শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন দেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ॥ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়স্ক যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি তিনভাবে কিডনি দান করে থাকেন- ১. পছন্দমতো রোগীর জন্য সরাসরি দানের মাধ্যমে ২. হাসপাতালের প্রয়োজনমাফিক অনাত্মীয় বিকল কিডনিতে প্রতিস্থাপনের জন্য ৩. রক্তের গ্রুপ না মিললে দুজন দাতার কিডনি প্রয়োজন অনুযায়ী দুজন বিকল কিডনি রোগীর মধ্যে প্রতিস্থাপন।
কানাডায় যেকোনো সুস্থ সুহৃদ ব্যক্তি অপরিচিত রোগীর জন্য কিডনি দান করতে পারেন। তিনি ইচ্ছা করলে একটি কিডনি, যকৃতের অংশবিশেষ এবং ফুসফুসের একটি অংশ দান করতে পারেন। জীবিত ও মৃত দাতার শরীরের অংশ দিয়ে আটজনের জীবন রক্ষা করা যায় এবং ৭৫ জন অসুস্থ রোগীর জীবনের উন্নয়ন সম্ভব।
ভারতে জীবিত আত্মীয়স্বজন সরাসরি হাসপাতলে গিয়ে অঙ্গ দান করতে পারেন। অনাত্মীয় ব্যক্তি অঙ্গ দান করতে চাইলে রাজ্যের অনুমোদন কমিটিকে জানাতে হয়। কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অনুমোদন কমিটির কাছে আপিল করা যায়। শ্রীলঙ্কায় অনাত্মীয় সুস্থ ব্যক্তি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নৈতিক সততা কমিটি অনুমতিক্রমে অঙ্গ দান করতে পারেন।
বাংলাদেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন পাকিস্তানের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুকরণে সৃষ্ট। পাকিস্তানে অনাত্মীয়কে অঙ্গ দান আইনসিদ্ধ নয়। তবে নিকটাত্মীয় থেকে অঙ্গ পাওয়া না গেলে মানব অঙ্গদান কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জীবিত ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তির অঙ্গ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। মৃত ব্যক্তির অঙ্গ নিতে হলে গোত্রের প্রধানের অনুমতির প্রয়োজন। সব প্রতিস্থাপন জাতীয় মনিটরিং কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হয়।
নিয়ম ভঙ্গ করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের বিধান আছে। তবে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মিয়ানমারে অনাত্মীয় থেকে অঙ্গদান আইনে স্বীকৃত নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের আইনের অনুসরণে নেপালে অঙ্গদান আইন পরিবর্তিত করার প্রক্রিয়া চলমান। অন্য দেশের রোগীরা নিজ দেশের স্বরাষ্ট্র বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আত্মীয়তা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়ে সিঙ্গাপুরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন সুবিধা নিতে পারেন। মিসর একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্র যেখানে অঙ্গ সংযোজন কোনো আইন প্রণীত হয়নি।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উলামাদের মতে, ক্ষতি না হলে জীবিত অঙ্গদানে শরিয়াহতে বাধা নেই। মৃত ব্যক্তির অঙ্গদানে আপত্তি নেই। কিডনি বেচাকেনা অনৈতিক এবং দরিদ্রদের প্রতারণা থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আইন তৈরি হয়নি। সৌদি আরবে ১৯৮৩ সাল থেকে মৃত ব্যক্তির অঙ্গ নিয়ে জীবিত বিকল কিডনি রোগীতে প্রতিস্থাপন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে জীবিত ব্যক্তির কিডনি, ফুসফুস, যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের ভালো প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে ২৬৭ জন বিকল কিডনি রোগীতে সফলতার সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে আদর্শ অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন কার্যকর আছে ইরানে। সে দেশে ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কেবল জীবিত আত্মীয়রা অঙ্গদান করতে পারতেন।
১৯৮৮ সাল থেকে জীবিত অনাত্মীয়দের অঙ্গদান আইনে স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০০ সাল থেকে মৃত ব্যক্তির অঙ্গদান চালু হয়। ইরানে বিকল কিডনি রোগীদের বেশির ভাগ জীবিত ব্যক্তির কিডনি ধারণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন ১৫ বছর ধরে। অন্যরা পেরিটোনিয়াল বা হেমোডায়ালাইসিস নিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
বাংলাদেশে বর্তমান আইনটি অত্যন্ত সীমিত পরিধির সংকীর্ণ আইন। ইচ্ছায় আত্মীয় বা অনাত্মীয়কে অঙ্গদান করা সুস্থ নাগরিকের মৌলিক অধিকার- এই মর্মে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম প্রতিকার চেয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের কোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত সাতজন কিডনি বিশেষজ্ঞের মতামত নেন।
তারা অঙ্গদানের বিষয় সবার জন্য উন্মুক্ত না করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। তাদের মতে, সমাজের নিম্ন শ্রেণির মানুষ অভাবের তাড়নায় অঙ্গ বেচাকেনায় মেতে উঠবে। অবশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে আদালতকে জ্ঞাত করেন, টাকা বা সম্পত্তি দান করার মতোই অঙ্গদান মৌলিক অধিকার। তাই কেবল নিকটাত্মীয়ের মধ্যে দানের প্রক্রিয়াটি সীমাবদ্ধ না রেখে যে কোনো সুস্থ অনাত্মীয় নাগরিকের জন্য অঙ্গদান উন্মুক্ত রাখতে হবে। তবে দরিদ্র মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য আইনে বিশেষ বিধান রাখতে হবে।
নওগাঁ দর্পন- নওগাঁয় গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেপ্তার
- নওগাঁয় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
- রাণীনগরে তিন পদে ২২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু
- পালিশ বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে
- আত্রাইয়ে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
- মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গৃহীত
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে:
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে :
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে:
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- মহাদেবপুরে শ্রমিক দিবস উদযাপন
- পোরশায় কাঠের ‘স’ মিল পুড়ে ছাই
- নিয়ামতপুরে মহান মে দিবস পালন
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- নওগাঁ থেকে যশোর-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রোডে বাস চালু
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- নওগাঁবাসীর জন্য ১২০ পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- কাঁচা এবং হাফ সেদ্ধ ডিম কি আসলেই উপকারী, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
- জেনে নিন শিশুর খিঁচুনি হওয়ার কারণ, লক্ষণ, করণীয় ও সাবধানতা!
- ভয়ংকর যে যৌন রোগ!
- নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার জাদুকরী গুণ
- নিমের ১০টি ওষধিগুণ
- ওষুধ ছাড়াই সাইনাস দূর করবেন যেভাবে
- ১৫ জানুয়ারির পর টিকা ছাড়া স্কুলে যাওয়া বন্ধ
- যে লক্ষণগুলো জানান দেবে শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে
- পুরুষের জন্য পাঁচটি খাবার প্রয়োজনীয়
- করোনাভাইরাস: কী করবেন, কী করবেন না
- ঠোঁটের রঙ বদলে যাওয়া সহ করোনায় দেখা দিলো নতুন ১৩টি উপসর্গ!
- এক সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম ৯ টাকার প্রস্তাব
- ক্যানসার রোধে বেদানা
- করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব এতো!
- বাসায় থেকেই সুস্থ হতে পারে করোনা রোগী: ডা. আতিয়ার
- মাঝেমধ্যে গোসলে ফাঁকি দেয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল!