রোববার ০৫ মে ২০২৪ বৈশাখ ২১ ১৪৩১ ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৪
নওগাঁয় অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত ধান ও চাল মজুতের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমতে শুরু করেছে। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরিহাট ঘুরে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ধান ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রশাসনের মজুতবিরোধী অভিযান ও জরিমানার কারণে মিলাররা ধান কিনছেন না। মিলারদের গোডাউনে যে ধান আছে সেগুলো নিয়েই তারা এখন চিন্তাই আছেন। তাই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ধানের দাম প্রতি মণে ৫০ টাকা এবং সুগন্ধি আতপ ধানের দাম প্রতি মণে দেড় থেকে ২০০ টাকা কমেছে।
চকগৌরিহাটের ধান ব্যবসায়ী ধীরেণ বলেন, গত হাটে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১ হাজার ২৫০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। গোডাউনে অভিযান চলায় মিলাররা ধান কিনতে আসছেন না, তাই দাম কমেছে।
আরেক ধান ব্যবসায়ী আবদুল আলীম বলেন, প্রশাসনের অভিযানের কারণে মূলত ধানের দাম কমেছে। গত হাটে আতপ ধান বিক্রি হয়েছে মানভেদে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা মণ। আজ সেই ধান ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ধানের দাম কমায় হতাশ কৃষকরা। তারা বলছেন, ধান বিক্রি করে বোরো আবাদে খরচ করতে হবে। ধানের দাম কমলেও সার, কীটনাশক ও ডিজেলের দামওতো কমছে না। তাই তাদের আবাদ করে শেষে লোকসানই গুনতে হবে।
হাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত হাটে যে ধান ১ হাজার ২৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে আজ তা ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হলো। বিক্রি না করেও তো উপায় নেই, বোরো আবাদের জন্য সার-কীটনাশক কিনতে হবে। ধানের দাম কমলেওতো আর সারের দাম কমেনি। আমাদের কৃষকদের কথা কেউ কোনোদিন ভাবে না।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, নওগাঁয় অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত ধান ও চাল মজুতের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে জরিমানা করা হচ্ছে। কয়েকটি গোডাউন সিলগালাও করা হয়েছে। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়