শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক (সাপাহার)
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন লাভ করায় সাপাহারবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। নওগাঁ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বর্তমান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির নিরলস প্রচেষ্টায় গত ১২সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তা অনুমোদন দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর পূর্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক দেশের প্রতিটি জেলায় বেকার যুবকদের মাঝে কর্ম সৃজন ও কর্মসংস্থানের লক্ষে একটি করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষনা দেন। সে থেকেই এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি মহোদায়, তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া লক্ষ রেখে ২৫৪.১৫একর সম্পত্তির অধিগ্রহনের প্রস্তাব জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছিল।
বর্তমানে তারই ফলশ্রুতিতে মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান হোসেন ও নির্বাহী অফিসার কল্যান চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১২সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যান চৌধুরী নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীতিগত অনুমোদনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাপাহার এলাকায় ২৫৪.১৫ একরজমির উপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠবে। এরইমধ্যে সেখানে জমি বন্দোবস্ত ও অধিগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সাপাহার বাসীর আশা উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে এই উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী আরোও কয়েকটি উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে সে সাথে অত্রালেকার হাজার হাজার বেকার যুবসমাজ সহ অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের পদও সৃষ্টি হবে। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা গঠিত, বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে উপজেলাটি পোরশা থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৯ সালের অক্টোবর মাসে পোরশা থানা হতে পৃথক হয়ে সাপাহার থানায় রুপান্তরিত হয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী থানা হলেও বর্তমানে এই উপজেলায় প্রায় ২লক্ষ মানুষের বসবাস। ভৌগলিক দিক দিয়ে সাপাহার উপজেলা একটি বরেন্দ্র এলাকা এখনার প্রধান অর্থকরি ফসল ধান, গম ও আম প্রধান। সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হলেও ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা শিক্ষা, উন্নয়ন ও শিল্পের দিক দিয়ে দেশের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
উপজেলা সদরে অনার্স মাষ্টারস সহ ১টি সরকারী ডিগ্রী কলেজ, অনার্স সহ একটি মহিলা ডিগ্রী কলেজ, সনাম ধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলহেলাল একাডেমী স্কুল ও কলেজ সহ অসংখ্য মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশ কয়েকবার বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষার দিক দিয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে জেলার মধ্যে সাপাহার উপজেলা একটি শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। সাপাহার উপজেলার সাথে দেশের রাজধানী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাবস্থা যথেষ্ট উন্নত।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়