শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২১
নওগাঁর রানীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার রাস্তা গত চার বছর ধরে কার্পেটিং তুলে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে ছোট-বড় গর্তে ভরা সেটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় এই পথই এখন এলাকার মানুষের পথের কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রানীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ পর্যন্ত মোট ২২ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচলে চাপ বাড়লে এবং এলাকার জনমানুষের জীবনমান উন্নয়নে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। রাস্তাটি রানীনগর-আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ হয়ে নাটোরের সিংড়ার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
২৬টি কালভার্ট ও চারটি ব্রিজ পুনর্নির্মাণ এবং রাস্তাটি টেকসই, মজবুত ও প্রশস্ত করে পাকাকরণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংশ্নিষ্ট বিভাগ থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। এরপর রাস্তার সব কার্পেটিং তুলে কোনো রকমে রোলার দিয়ে ফেলে রাখা হয়।
গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরে সংশ্নিষ্ট ঠিকাদার অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর অতিরিক্ত সময়েও কাজ শেষ করতে না পারায় চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার দেয়।
এতে আগের ঠিকাদার নতুন করে দেওয়া টেন্ডারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর আর কাজ শুরু হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তার মধ্যে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কোথাও কোথাও টেউ টিনের মতো উঁচু-নিচু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত কম-বেশি নানা রকম দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
বর্ষার সময় এলে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়। আর শুস্ক দিনে থাকে প্রচুর ধুলাবালি। এসব দুর্ভোগ এড়াতে অধিকাংশ লোক রানীনগর পৌঁছতে মূল রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প পথে প্রায় সাত-আট কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করছেন।
পরিবহন চালকরা জানান, ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে। এ পথে নিয়মিত চলাচল করেন এমন যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তায় চলাচল একেবারেই অসম্ভব।
নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান জানান, নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার পর আগের ঠিকাদার মামলা দায়ের করেছিলেন। ফলে সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। শিগগির ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়