শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
আওরঙ্গজেব হোসেন রাব্বী, রাণীনগর
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সরকারের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য বিতরন অর্থাৎ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বুধবার (১১মার্চ) থেকে খোলা বাজারে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। অতি দরিদ্র পরিবারের কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে প্রতি কেজি ১০টাকা দরে ৩০কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে অতিদ্ররিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে বছরের বড় দুটি মৌসুম ইরি-বোরো ও রোপা-আমন ধান চাষের সময় চাল বাজার অস্তির হয়ে ওঠে। তাই দিনমজুর ও খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের পক্ষে বেশি দামে বাজার থেকে চাল কিনে খাওয়া খুবই কষ্ট্যসাধ্য হয়ে পড়ে। চালের বাজার ঠিকঠাক রাখা ও অতিদরিদ্রদের বাঁচানোর লক্ষ্যে সরকার বছরের মার্চ-এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে এ কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্র পরিবারের কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে প্রতি কেজি ১০টাকা দরে ৩০কেজি করে চাল বিক্রয় করছেন। প্রতিজন ডিলার ১মেট্টিকটন চাল বিক্রি করতে পারবেন। এই কর্মসূচী চলাকালিন সময়ে সপ্তাহের সোম, বুধ ও বৃহস্পতিবার ডিলারদের নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে এই চাল পাওয়া যাবে। এদিকে ডিলারের দোকানগুলোতে চাল কিনতে অতিদরিদ্র মানুষদের উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৬জন ডিলারের মাধ্যমে ৮হাজার ৪শত ৩৩জন কার্ডধারীদের মাঝে ২৫২.৯৯০মেট্টিকটন চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার ভাটকৈ গ্রামের বিষ্ণু দেবনাথ, রেহেনা বেওয়াসহ অনেকেই বলেন শেখ হাসিনার দেওয়া ১০টাকা কেজি দামে চাল পেয়ে আমরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। কারণ চালের গুনগত মান ভালো হওয়াই পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পারছি। কারণ ধান চাষের এই সময়ে অধিকাংশ গরীব ও দিনমজুরদের কাজ থাকে না সেই সঙ্গে হাতে তেমন টাকাও থাকে না। এই চাল পাওয়াই আমরা খুবই উপকৃত হচ্ছি।
উপজেলার ভাটকৈ বাজারের ডিলার মন্টু সেপাই বলেন সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দফায় দফায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছিলেন গরীব খেটে খাওয়া মানুষরা। চালের বিষয়টি সাধারনদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠে। কিন্তু এই চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় এই অ লের নিম্ন আয়ের মানুষরা স্বস্তি পেতে শুরু করেছে।
ভাটকৈ বাজার কেন্দ্রে দায়িত্বরত তদারকি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন এই কেন্দ্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মের মধ্যেই যাচাই করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। আশা করছি শেষ সময় পর্যন্ত নিয়মের মধ্যেই চাল বিক্রয় করা হবে। কোন প্রকারের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। আমরা চাল বিক্রির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিক আনছার-ভিডিপি সদস্যকে রাখছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সরকার বলেন খোলা বাজারে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি প্রধান মন্ত্রীর একটি বড় পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই আমরা সকল নিয়ম-কানুন মেনে এই চাল বিক্রি করার সকল প্রস্তুতি শেষ করে চাল বিক্রয় শুরু করছি। এই চাল বিক্রিতে কোন প্রকারের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করছি এছাড়াও আমার অন্যান্য কর্মকর্তারা তো সব সময় মাঠে রয়েছেন। আশা রাখি শেষ পর্যন্ত ভালো ভাবেই এই চাল বিক্রয় সম্পন্ন হবে।
স/সা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়