শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২১
নওগাঁর রাণীনগরে হঠাৎকরে চলতি মৌসুমের পাকা বোরো ধান কাটার আগ মহুর্তে কারেন্ট পোকা হানা দেওয়ায় কৃষকের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভালো ধান জমিতে দেখে আসলে সকালে গিয়ে জমিতে ধানের শীষে সাদা চিটা থাকলেও দানা থাকে না। এই সংকট কালে চাষীরা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নামিদামি ব্যান্ডের কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়ে কোনা কাজে আসছে না।
এই অবস্থায় চাষিরা যে যেমন ভাবে পারে জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছে। শেষ মহুর্তে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছে কৃষকরা। বিশেষ করে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা, হরিশপুর ও কনৌজ মাঠে এ পোকার আনাগোনা বেশি দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্ত জুড়ে পাকা ধানের সোনালী রঙের ঝিলিক ছটাচ্ছে। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রঙের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। মাঠ জুড়ে পাকা ধান বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ইরি-বোরো ধান চাষের দৃশ্য।
চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করলেও ধান কাটার আগ মহুর্তে দুই একটি ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ে পাকা ধানে কারেন্ট পোকা হানা দেওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় চিন্তায় আছেন চাষিরা। নানা জাতের ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছেনা। চলতি বোরো মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরা ধান হয়েছে। ইতি মধ্যেই আংশিক কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে।
মিরাট ইউনিয়নে বিল মুনসুর ও চৌরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় কারেন্ট পোকার হানায় পাকা ধানের ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলার হরিশপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান আমার ২বিঘা জমিতে বিআর ২৯জাতের ধান লাগায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় ধান খুব ভালো হয়েছিলো। কাটা শুরু করার কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকটি ইউনিয়নে কিছু কিছু এলাকায় ধান পেকেছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে। শেষ মহুর্তে আবহাওয়া ভালো থাকলেও কিছু এলাকায় কম বেশি কারেট পোকার আক্রমণ হচ্ছে। চাষিদেরকে আমরা বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক ছিটানোর পরা মর্শ দিচ্ছি। আশা করছি উৎপাদনের তেমন ক্ষতি হবেনা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়