শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০
নওগাঁর ধামইরহাটে করোনা প্রতিরোধে এক স্কুল শিক্ষিকা অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অবসর সময়ে নিজে সেলাই মেশিনে মাস্ক তৈরি করেন।
আর সেগুলো তার স্বামী গ্রামের খেটে খাওয়া অসচ্ছল মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন। এলাকাবাসী তার এ ধরণের মহৎ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ১৭ মার্চ থেকে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। সেই সুযোগে ধামইরহাট সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকতার বানুু আশা বাড়ীতে অবসর সময়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের সেলাই মেশিন দ্বারা মাস্ক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত পাঁচ দিন ধরে তিনি প্রায় ৩শত মাস্ক তৈরি করেন। নিজের অর্থ দিয়ে বাজার থেকে কাপড় ক্রয় করে দিনের অবসর সময়ে তিনি এ কাজ করছেন। প্রথম দিন ১শত মাস্ক তৈরি করেন। তাঁর স্বামী উপজেলার উমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মো.আইয়ুব হোসেন এ কাজে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
এড.আইয়ুব হোসেন সকালে মাস্কগুলো নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। পথচারী,পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করছেন। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে মানুষ কে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আকতার বানু আশা বলেন, একমাত্র ছেলে বর্তমানে বিদেশে অধ্যয়ণরত রয়েছে। বিদ্যালয়ও বন্ধ তাই অবসর সময়ে চরম দূর্ভোগ মুর্হুতে মানুষের সেবা করাটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমার এ প্রয়াস যদি মানুষের যদি সামান্য উপকারে আসে তাহলে আমার শ্রম সার্থক হবে।
এডভোকেট মো.আইয়ুব হোসেন বলেন, তাঁর স্ত্রী অসহায় মানুষের সেবা করতে সর্বদা তৎপর থাকেন। আমার পক্ষ থেকে সকল ভালো কাজে সার্বিক সহায়তা প্রদান করি থাকি।
এলাকার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,জাতির এই কঠিন সময়ে ম্যাডামের মতো সকল কে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায় বলেন, জাতির এমন ক্রান্তিলগ্নে মানুষকে বাঁচানো জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্কুল শিক্ষিকার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্যাঁলূট জানাই।
স/মা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়