শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নওগাঁ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। ২০১৭ সালে বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিলো জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বেশ কিছু অংশ।
চলতি বর্ষা মৌসুমে লাগাতার কয়েক দফা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলের পানিতে ছোট যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর নামক স্থানে প্রায় ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধটি যে কোনো সময় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকাবাসী।
প্রায় আশির দশকে স্থানীয়দেও দাবির মুখে এই বাঁধটি নির্মাণ করা হলেও নওগাঁর পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডি কেউ এই বাঁধটির মালিকানার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। এতে বছরের পর বছর ভাঙন এবং সংস্কার না করায় বাঁধটি এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসান জানান, ইতিমধ্যেই অভিভাবকহীন এই বাঁধটি পুনঃনির্মাণের জন্য নওগাঁর পানি উন্নয়ন বোর্ড দরপত্র আহবান করে ঠিকাদার নিযুক্ত করেছে। তবে সঠিক সময়ে কাজ শুরু না করায় বাঁধটি ভেঙে গেলে আমার এলাকাসহ পাশ্ববর্তী আত্রাই উপজেলার বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, নদীর পানি কৃষির কাজে সুষ্ঠভাবে ব্যবহারের জন্য আশির দশকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর ও আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকায় স্থানীয় সরকারের সহায়তায় বেড়িবাঁধটি নিমাণ করা হয়।
নির্মাণের পর থেকে সরকারের কোন দপ্তরই বেড়িবাঁধের কোন প্রকার সংস্কার কাজ না করলেও স্থানীয়রা বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে কোনমতে রক্ষা করে আসছে বছরের পর বছর এই বাঁধটি। বর্তমানে পানির চাপে এই বাঁধের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙতে শুরু করেছে বেড়িবাঁধ।
উপজেলার ভাবাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল, রেন্টু প্রামানিকসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বর্ষার এই সময় ওই বাঁধ নিয়ে আমরা অনেক আতঙ্কে থাকি। বাঁধটি ভেঙে গেলে পুকুরের মাছ শাকসবজি ও ধানসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই এই বাঁধটি নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-মামুন জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে নান্দাইবাড়ি ওই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি পরিদর্শনে গেছিলাম।
আমি যতটুকু জানতে পেরেছি নওগাঁর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে ওই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে। যে কোনো সময় তারা কাজ শুরু করবে বলে আশা করছি।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী বিসুধাংশু কুমার সরকার জানান, বেশ কিছুদিন আগে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়