শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৩
নওগাঁর বদলগাছীতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী(ঘড়)। নির্দশন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির বাড়ী এক সময় ছিল গ্রামের প্রতিটি মানুষের প্রিয় বাড়ী। কিন্ত কালের পরির্বতনে আজ হারিয়ে গেছে আর চক্ষে তেমন পড়েনা। বেশী দিনের কথা নয়,বাংলার প্রতিটি গ্রামের নজর পড়তো এই মাটির বাড়ী এবং ঘড়। ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশা-পাশি প্রচুর গরম ও শীত কালে বসবাস করার মত ছিল উপযোগী এই পাটির বাড়ী।
এসব মাটির বাড়ী তৈরীর সময় বিভিন্ন ডিজাইন ও ফুল নকশা কাটা হত প্রতিযোগীতামূলককে কেমন ডিজাইন বা ফুল নকশা করতে পারে। বড় গ্রহস্তরা তৈরী করত ২তলা আবার কেউ এক তলা যারা ঘড় তৈরী করত তাদের গ্রাম বাংলার ভাসায় বলা হত ঘরামী তাদেরকে দিয়ে তৈরী করা হত এই মাটির ঘড়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরির্বতে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ী ঘড় আজ প্রায় বিলুপ্তর পথে।
গরমের মৌসুমে এ বাড়ীতে খুবিই আরামদায়ক বলে বসবাস করতেন গ্রামের বিত্তবানেরা। প্রাচীনকাল থেকেই মাটির বাড়ী গ্রামের বিত্তবানেরা তৈরী করত অনেক অর্থ ব্যয় করে মজবুত করে ২য়তলা, আর সেই খানেই আরামদায়ক ভাবে বসবাস করতেন তারা ও তাদের আত্বীয়স্বজনরা। এখন আর মাটির বাড়ী চক্ষে পড়েনা কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলার আবাদপুর গ্রামের পুরাতুন গ্রহস্ত রঘুনাথ ও নির্মল,অখিল বলেন আগে আঠালো মাটি দিয়ে কাঁদা পরিণত করে বাড়ীর ভিত দেওয়া হত যার গোড়ার দিক ২-৩ফুট চওরা করে। বাঁশের বা তাল গাছের র্তীর দিয়ে তলা মজবুদ করা হত যাতে ৮-১২শ মন ধান রাখা যেত।
তারা জানান, এখনো আমাদের কিছু মাটির বাড়ী রয়েছে সেখানে আমরা বসবাস করি। ছেলে-মেয়েরা এসব বাড়ী পছন্দ করেনা তারা ইটের বিন্ডিং বাড়ী করেছে। তবে মাটির বাড়ী করতে গেলে জায়গা বেশী লাগত বর্তমান কালের পরিবর্তনে ইটের দালান অল্প জায়গায় বড় বড় বিন্ডিং হচ্ছে বলে বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে মাটির বাড়ী।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়