শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২২
বগুড়ার নিভৃত পল্লীতে আটকে রাখা বিপন্ন প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) সদস্যরা।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর গ্রাম থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিনের অনাহারে শকুনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেটি সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে দিনাজপুরের সিংড়া ফরেস্টের শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সংগঠনের সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিশালাকার একটি পাখি ফসলের জমিতে নামে। এরপর সেটি আর উড়তে পারছিল না। তা দেখে মুরাদপুর গ্রামের কিছু যুবক পাখিটি আটক করে। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা পাখিটিকে শকুন হিসেবে শনাক্ত করেন।
পরে শকুন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)-বাংলাদেশ ও বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বগুড়া অঞ্চলে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তীরকে সেটি উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম ইকবাল জানান, এটি ‘হিমালয়ান গৃধিনী’ জাতের শকুন। শকুনকে প্রকৃতির ঝাড়ু বলা হয়। বড় ডানার বৃহদাকার এই পাখি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী ও মৃত প্রাণী ভক্ষণকারী। শকুনই একমাত্র পাখি যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, ক্ষুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকুলকে রক্ষা করে।
তিনি আরো জানান, আইইউসিএন-বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৪ সালে শকুন নিয়ে শুমারির তথ্য মতে, দেশে মোট ২৬০টি শকুন রয়েছে। সেই হিসাবে শকুন এখন বিপন্ন প্রজাতির পাখি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়