শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০
কোনো পেশাকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর হতে প্রায় ২০ কিমি দূরে শাশইল গ্রাম। এ গ্রামের পাশ দিয়ে মহাদেবপুর-পোরশার সদর রাস্তা দিয়ে যেতেই কানে ভেসে আসতে লাগলো, লালমাটি গুলা নিবেন, লালমাটি গুলা। তাকাতেই চোখে পড়ল এক তরুন রমজান আলী (২৬)। সঙ্গে ভ্যানে লালমাটির গুলা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
জিজ্ঞেস করতেই বললেন বাড়ি নওগাঁর সাপহার উপজেলার ঘাটনগর ইলিমপুর গ্রামে। লালমাটির গুলাগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তার উভয় পাশ ও নতুন পুকুর খননকালে সংগ্রহ করে তৈরি করি। প্রতিটি মাটির গুলা তিন থেকে চার কেজি ওজনের এবং স্থান ভেদে ২০-৩৫ টাকার বিনিময়ে বিক্রয় হয়ে থাকে।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার টাকার বিক্রয় হয়। পরিবারে পাঁচ জন সদস্য এ কাজে পুরো সহযোগিতা করে থাকেন। আর এ মাটি বিক্রয়ের আয় থেকে রমজান আলীর পাঁচ সদস্যের সংসার ভালো ভাবেই চলে থাকে। রমজান আলী জানান, পত্নীতলা, সাপহার ও পোরশা নিয়ামতপুরসহ আশপাশের প্রায় বাড়িতে আমার মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে।
প্রয়োজন হলেই তারা ফোন দেন আমাকে। এ পেশায় আসার পর তাকে আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান।
স/এমএস
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়