প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ঋদ্ধ নওগাঁ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তীর্থভূমি নওগাঁ। এ জেলায় বেড়ানোর জন্য রয়েছে বেশকিছু আকর্ষণীয় স্থান। এর মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসর, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, গদ্দল মহাবিহার, দিব্যক স্মৃতিস্তম্ভ, নসরত শাহ নির্মিত কুসুম্বা মসজিদ, করোনেশন থিয়েটার, অনিমেষ লাহিড়ীর বাড়ি, পালবংশের স্মৃতি বহনকারী সাঁওতালপাড়া, জবাইবিল, ভীমের পান্টি, বলিহার রাজবাড়ী, জগদ্দল বিহার, পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ জেলাকে নিয়ে আজকে আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
বদলগাছী উপজেলা তথা নওগাঁ জেলার সর্বাপেক্ষা গৌরবময় দর্শনীয় স্থান হলো সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। বর্তমান পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রামে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অবস্থিত। পাহাড়পুর নামটি আধুনিক এর প্রাচীন নাম সোমপুর।
বাংলাদেশে সপ্তম শতাব্দিতে (৭৭০-৮১০ খ্রি:) বৌদ্ধ ধর্মীয় পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়। খ্রিস্টীয় অষ্টম ও নবম শতাব্দিতে পাল বংশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাজা ধর্মপাল ও তার পুত্র দেবপাল বাংলা, বিহার এবং কনৌজ পর্যন্ত বিরাট সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বৌদ্ধ ধর্মের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে এই পাহাড়পুর বিহার ও মন্দির গড়ে ওঠে। ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক কারণে এই মহাবিহারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও আজও এই অপূর্ব বিহারটি এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ বিহার বলে সগৌরবে দণ্ডায়মান।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল। মোট ৭০.৩১ একর জমির ওপর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এখানে একটি জাদুঘর, একটি রেস্ট হাউস ও কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করেছে।
১৯৩৪ খ্রি. পর্যন্ত খননের ফলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই বিহারের পূর্ব দিকে সত্যপিরের ভিটা ও মন্দিরের চর্তুদিক বেষ্টিত কক্ষগুলো ও সমগ্র প্রত্নাবশেষটি আবিষ্কার করেন। এর মধ্যভাগে প্রধান বিহার এবং তাকে ঘিরে ১৯৮টি বাসোপযোগী কক্ষ, বিস্তৃত প্রবেশ পথ, অসংখ্য বিনোদন স্তূপ, ছোট ছোট মন্দির, পুস্করিণী অবস্থিত। মন্দিরটি উত্তর-দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৩৫৭ ফুট প্রস্থে পূর্ব-পশ্চিমে ৩১৪ ফুট। মূল বিহারটি এর মধ্যস্থলে অবস্থিত।
সন্ধ্যাবর্তী এখানকার রাজার কন্যা ছিলেন। আকর্ষণীয় স্থাপত্য বিশাল আয়তন ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার আজ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। সম্প্রতি এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে। ওই পাহাড়পুরের প্রস্তর গ্রাত্রে ৬৩টি মূর্তি দেখা যায়। মন্দির গ্রাত্রেও বহু জীব-জন্তুর মূর্তি পাওয়া যায়। মূল ভূমি থেকে বিহারটির উঁচু প্রায় ৭২ ফুট। পাহাড়পুরকে প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি সংস্করণ হিসেবে চিহিত করা যায়। প্রতি বছর এখানে বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ মানুষের সমাগম হয়।
কুসুম্বা মসজিদ
পাঁচ টাকা নোটে অঙ্কিত সাড়ে চারশ’ বছরের অধিক কাল আগে নির্মিত মসজিদ হলো কুসুম্বা মসজিদ। মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুসুম্বা গ্রামের একটি প্রাচীন মসজিদ। কুসুম্বা দীঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধূসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৪-১৫৬০ খ্রিস্টাব্দ)। আফগানী শাসনামলের শুরুর দিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
ইউকিপিডিয়ার তথ্য মতে, মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ ফুট, প্রস্থে ৪২ ফুট। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। প্রাচীরঘেরা মসজিদটির প্রধান ফটকে প্রহরী চৌকি ছিল। মসজিদটিতে ইটের গাঁথুনি, সামান্য বাঁকানো কার্ণিশ এবং সংলগ্ন আটকোনা বুরুজ- এগুলো থেকে মসজিদের স্থাপত্যে বাংলা স্থাপত্যরীতির প্রভাব পাওয়া যায়। মসজিদের মূল গাঁথুনি ইটের হলেও এর সম্পূর্ণ দেয়াল এবং ভেতরের খিলানগুলো পাথরের আস্তরণে ঢাকা।
মসজিদের স্তম্ভ, ভিত্তি মঞ্চ, মেঝে ও দেয়ালের জালি নকশা পর্যন্ত পাথরের। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং দুটি আইল। এর পূর্বপ্রান্তে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণ একটি করে প্রবেশপথ।
মসজিদের কেন্দ্রীয় মেহরাবটি পশ্চিম দিকের দেয়াল থেকে আলাদা। পশ্চিম দেয়ালের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং মাঝামাঝি প্রবেশপথ বরাবর দুটো মেহরাব রয়েছে, যা মেঝের সমান্তরাল। উত্তর-পশ্চিম কোণের বে-তে মেহরাবটি একটি উঁচু বেদীর ওপর বসানো। মোট মেহরাব আছে ৩টি, যার সবই কালো পাথরের তৈরি। মসজিদটির সম্মুখে ২৫.৮৩ একের আয়তনের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। মেহরাবে আঙ্গুলগুচ্ছ ও লতাপাতার নকশা খোদিত রয়েছে।
বলিহার রাজবাড়ি
ঐতিহ্যঘেরা উত্তরবঙ্গের ভারত সীমান্তঘেঁষা বরেন্দ্র অঞ্চল নামে অবহিত নওগাঁ জেলা। এ জেলায় রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (সোমপুর বিহার)। শুধু পাহাড়পুরই নয়, রয়েছে আরও অনেক ঐতিহ্যে ভরা ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা। তারই একটি অংশ বলিহার রাজবাড়ি। এ রাজবাড়িতে এখন নেই সেই রাজা আর সেই রাজার রাজ্যও। কিন্তু এখনো কথা বলে এই রাজ্যের রাজা ও জমিদারের সময়ের রোপণ করা অনেক বটবৃক্ষ আর বিভিন্ন স্থাপনা। শুধু কালের সাক্ষী হয়ে রাজার শাসন আমলের স্মৃতি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী বলিহার রাজবাড়িটি।
এখনো রাজবাড়িতে আছে দেবালয়। সেখানে হয় না আর নিয়মিত পূজা-অর্চনা। দেবালয়ে দেবতার সন্তুষ্টিতে দেবদাসীদের নৃত্যাঞ্জলি, শঙ্খ ধ্বনি, পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, ধূপের ধোঁয়া আর খোল-করতালের শব্দ থেমে গেছে বহু আগে। দেবালয়ের দুর্ভেদ্য প্রকোষ্ঠ আর দেয়াল পেরিয়ে দেবদাসীদের হাসি-কান্নার শব্দ হয়তো এখনো ভেসে বেড়ায় বলিহারের ভগ্ন রাজপ্রাসাদের আকাশে-বাতাসে। তাই আসুন না একবার ঘুরে আসি এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িটি আর দেখে আসি শত শত বছর আগের স্থাপনাগুলো। পরিচিত হই আপন দেশের ইতিহাসের সেই কালের সাক্ষীগুলোর সঙ্গে।
নওগাঁ জেলা সদরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম সকাল ৯টায়। চারদিকে বাসের স্টাফদের যাত্রী ডাকার চিৎকার আর চেঁচামেচি সকালের পরিবেশটা অস্থির করে তুলছিল। আমরা মান্দাগামী একটি বাসে চাপলাম। ১০-১২ মিনিট পর বাসটি বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করল। আমরা বাস থেকে নামব নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের বাবলাতলির মোড়ে। ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তায় ৩৫ মিনিটের মাথায় পৌঁছে গেলাম বাবলাতলি মোড়ে। সেখানে ছোট্ট চায়ের দোকানে রঙ চা খেলাম। গরমের দিন গরম চায়ে একটু উষ্ণ পরশ নিলাম। সামনে বলিহার কলেজ ভবন। পাশ দিয়ে সরু এবড়োখেবড়ো পাকা রাস্তা চলে গেছে বলিহার রাজবাড়িতে। তা সব মিলিয়ে আধা মাইল। হেঁটে রওনা হলাম আমরা। রাস্তার দুই ধারে আকাশমণি গাছে গাছে অপরূপ লাগছে। সামনে বিশাল দুটি দীঘি পড়তেই বুঝতে পারলাম আমরা প্রাসাদের কাছাকাছি চলে এসেছি। প্রাচীন বড় বড় কয়েকটি তেঁতুলগাছ আর বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে প্রাসাদে প্রবেশের আগেই। রাজবাড়ির সামনেই বলিহার বাজার।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের এক সনদ বলে নওগাঁর বলিহারের এক জমিদার জায়গির লাভ করেন। জমিদারদের মধ্যে জমিদার রাজেন্দ্রনাথ ১৮২৩ সালে বলিহারে একটি রাজ-রাজেশ্বরী দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মন্দিরে রাজেশ্বরী দেবীর অপরূপা পিতলের মূর্তি স্থাপন করেন। বলিহারের ৯ চাকার রথ এ অঞ্চলে প্রসিদ্ধ ছিল। প্রাসাদের কিছুটা দূরেই ছিল বিশাল বাগান। বাগানে এখনো কিছু রাজার শাসনামলে রোপণ করা গাছ রয়েছে। তবে বাগানবাড়িটির সামনের পুকুর ঘাটের একটি ছাদ এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এখানে বসত নিয়মিত জলসা। কলকাতা থেকে আনা হতো নামকরা নর্তকীর দল। বলিহারের রাজাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। রাজা কৃষ্ণেন্দ্রনাথ রায় বাহাদুর একজন লেখক ছিলেন। তার লেখা গ্রন্থগুলোর মধ্যে কৃষ্ণেন্দ্র গ্রন্থাবলী প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড অন্যতম। দেশ বিভাগের সময় এবং জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে অন্য সব রাজার মতো বলিহারের রাজার উত্তরাধিকারী বিমেলেন্দু রায় চলে যান ভারতে।
ডানা পার্ক
এই সময়ে এসে মানুষের নির্মল বিনোদনের অন্যতম উৎস পার্ক। শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী মানুষের আনাগোনা থাকে এই পার্কে। সভ্যতার ইতিহাসে প্রাচীন এবং মানব বৈচিত্র্যপূর্ণ জেলা নওগাঁ। রাজশাহী বিভাগের এই বরেন্দ্রিয় অংশে ঐতিহাসিক ও পুরাকীর্তির নানা নিদর্শন রয়েছে। এছাড়াও এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে আরও কিছু দর্শনীয় ও বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে একটি ডানা পার্ক।
শহরের মানুষদের মনোরম পরিবেশে বিনোদনের জন্য তৈরি ডানা পার্ক গড়ে উঠেছে নওগাঁ পৌরসভার ভবানিপুরে। ১০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই পার্কটি স্থানীয় জনসাধারণের নিকট অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গ্রামের মধ্যে গড়ে তোলা এই পার্কটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে মনোরম আর শান্ত পরিবেশ। বিনোদনের নানা সরঞ্জাম রয়েছে ডানা পার্কে।
সাজানো গোছানো এই পার্কে আছে নাগর দোলা, চরকি, মেরিগো হর্স, প্যাডেল বোর্ড, দোলনাসহ নানা ধরনের রাইড। আছে শিশু কর্নারও। পার্কজুড়ে আছে নানা রকম পশু-পাখির ভাস্কর্য, যেমন- হাতি, হরিণ, বাঘ, জিরাফ, ক্যাঙ্গারুসহ আরো অনেক। এছাড়া আছে জীবন্ত ঘোড়া, দেয়ালে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রাকৃতিক নানা দৃশ্যের প্রতিচ্ছবি। চাইলে যে কেউ এখানে কটেজ, কনফারেন্স রুম ও ক্যান্টিনের সুবিধা নিতে পারেন।
ডানা পার্কের অন্যতম আকর্ষণ এখানকার দুটি সুইমিং পুল। নওগাঁর একমাত্র সুইমিং পুল হওয়ায় এগুলো ভ্রমণকারীদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ছেলে বুড়ো সবাই এখানে পানিতে মেতে উঠে আনন্দে। আছে একটি পুকুর, যেখানে নৌকাতে করে ঘুরতে পারেন। রয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে তৈরি কলসি কাঁখে নেওয়া এক রমণীর ভাস্কর্য। এছাড়া আছে একটা জলপরি ও পরীর ভাস্কর্য। নানা রকম গাছগাছালি আর মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ডানা পার্কে ঘুরে বেড়াতে পারেন পরিবার পরিজন নিয়ে।
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী
নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আত্রাই উপজেলার নাগর নদের তীরে রবি ঠাকুরের এ পতিসর কুঠিবাড়ী অবস্থিত। পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত কালিগ্রাম পরগনার জমিদারি দেখাশোনার জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম পতিসরে আসেন। জমিদারি দেখা শোনার জন্য এলেও প্রকৃতি ও মানবপ্রেমী কবি অবহেলিত পতিসর এলাকার মানুষের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কাজ করেন। এখানকার কৃষকের কল্যাণে নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৮ হাজার টাকা দিয়ে তিনি এখানে একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন।
কবির সাহিত্য সৃষ্টির একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে পতিসর। পতিসরে বসেই কবি- চিত্রা, পূর্ণিমা, সন্ধ্যা, গোরা, ঘরে-বাইরেসহ অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষবারের মত পতিসরে আসেন।
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে পতিসর কুঠিবাড়ী। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৯০ সালে এ কুঠিবাড়ীটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। কাছারী বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই পড়বে রবিঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি।
এর ভাস্কর কতক কুমার পাঠান। ঘরগুলো কবির ব্যবহার্য বিভিন্ন তৈজসপত্র, নানা রকম সামগ্রী, তার হস্তলিপি আর বিভিন্ন ছবিতে ভরা। একটি বাথটাব, একটি নোঙর, বিশাল আয়না, আরাম কেদারা, ওয়্যারড্রব, ঘড়ি, গ্লোব, সিন্দুক, খাজনা আদায়ের টেবিল, খাট, আলমারি, দরজার পাল্লা, জানালা ইত্যাদি।
জগদ্দল বিহার
নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থান। স্থানীয়রা এটিকে বটকৃষ্ণ জমিদার বাড়িও বলে থাকে এবং জায়গাটিকে জজ্ঞদল হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। বর্তমান উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্রতে (১১শ’ শতাব্দীর শেষ থেকে ১২শ’ শতাব্দীর মধ্যে) এটি ছিল একটি বৌদ্ধ বিহার এবং শিক্ষাদান কেন্দ্র। পাল রাজবংশের রাজা সম্ভবত রামপাল (১০৭৭-১১২০) পাল শাসনামলের শেষার্ধে এটি প্রতিষ্ঠা করেন উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশে অবস্থিত ধামরিহাট উপজেলার জাগদাল গ্রামে যে জায়গাটি ভারত সীমান্তবর্তী এবং পাহাড়পুরের নিকটে অবস্থিত।
উত্তর-পূর্ব ভারতে পাল শাসনামলের চার শতকে (খ্রিস্টপূর্ব ৭৫৬-১১৭৪) প্রাচীন বাংলা এবং মাগাধাতে অনেক বিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়। ধর্মপাল (৭৮১-৮২১) একাই ৫০টি বিহার প্রতিষ্ঠা করেন, যার মধ্যে ছিল সে সময়ের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমশীলা।
তিব্বতের সূত্র অনুযায়ী পাঁচটি শ্রেষ্ঠ মহাবিহার ছিল : বিক্রমশীলা ছিল সেই যুগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়; নালান্দা; সোমপুর মহাবিহার; অদন্তপুর এবং জাজ্ঞাদলা। পাল আমলে পূর্ব ভারতে শিক্ষাদানকারী সবগুলো বৌদ্ধবিহার রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে ছিল এবং বৌদ্ধবিহারগুলো একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল এবং বিহারগুলোর মধ্যে সমন্বয় ছিল এতে করে মহান মনিষীদের জন্য বৌদ্ধবিহারগুলোর মধ্যে অবস্থান বদলানো সহজ হতো।
স/এমএস
নওগাঁ দর্পন- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য
- গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন :
- বেনজীর ও পরিবারের অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে:
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে পত্নীতলা ১৪ বিজিবি
- বৃষ্টির জন্য পোরশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- পোরশায় ৩ দোকান পুড়ে ছাই
- বৃষ্টি কামনায় সাপাহারে সালাতুল ইসতিসকা আদায়
- নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
- নিয়ামতপুরে খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন
- নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন
- আত্রাইয়ে বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্নও
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- মান্দায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য যেসব অঙ্গীকার
- নওগাঁর নতুন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা
- নওগাঁয় কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম গ্রেফতার
- নওগাঁয় ধানের বাম্পার ফলন
- নওগাঁয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী
- নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
- নওগাঁয় জেলায় এখন ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান
- বাপাউবো মহাপরিচালক হলেন রাণীনগরের কৃতি সন্তান রমজান আলী
- রাজশাহী সহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
- এ বছরের ফিতরা কত, জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- নওগাঁ থেকে যশোর-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রোডে বাস চালু
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে সংসদে প্রস্তাব পাস
- নওগাঁয় খামারের ৮০০ হাঁস নিয়ে উধাও পাহারাদার
- নওগাঁর ‘মাতাজীর স্পঞ্জ মিষ্টি’ মুখে দিতেই গলে যায়
- মহাদেবপুররে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ,গ্রেফতার১
- নওগাঁয় বজ্রপাতে দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
- নওগাঁয় সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু
- নওগাঁয় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ঘরের চাল
- ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে নওগাঁ স্টেডিয়ামে ভিড়
- নওগাঁয় এক ভুয়া চিকিৎসকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
- বদলগাছীতে সাড়া ফেলেছে বাউ চিকেন
- রাণীনগরে আগুনে পুড়লো তিনটি গরুসহ বাড়ি
- নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭টি ফজিলত
- ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমল
- স্বাদে-মানে অনন্য নওগাঁর প্যারা সন্দেশ
- নওগাঁয় পর্যটকদের নজর কাড়ছে ‘ব্র্যান্ডিং সাপাহার’
- পতিত জমিতে বাগান করে লাভবান স্থানীয় বাসিন্দরা
- নওগাঁবাসীর জন্য ১২০ পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- ডাঃ রাজন এর মৃত্যুর আসল রহস্য মিললো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থেকে
- নওগাঁ জেলার বিখ্যাত খাবার ‘প্যারা সন্দেশ’
- নওগাঁয় পানি ফলের কেজি ১৫ টাকা
- নওগাঁয় বেগুন ৫, শিমের কেজি ১০ টাকা
- নওগাঁয় এক ঘন্টা পরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু!
- আগুনের ভয়াবহতা দেখে পানির পাইপ কাঁধে তুলে নিলেন এমপি জন
- নওগাঁয় হাজার কোটি টাকার টুপি রপ্তানির সম্ভাবনা
- মাদার তেরেসা পদক পেলেন খাদ্যমন্ত্রীর কন্যা ও ভাতিজি
- নওগাঁর ২২টি উচ্চ বিদ্যালয়ে সততা ষ্টোরের জন্য অর্থ বিতরণ
- নওগাঁ এখন আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে
- নওগাঁয় আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- নওগাঁয় ডেঙ্গু সনাক্তকরন পরীক্ষার বিতর্কিত ফলাফল নিয়ে জনমনে আতঙ্ক
- নওগাঁয় স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
- বার্ডফ্লু আতঙ্কে নিয়ামতপুর
- নওগাঁয় আলুর বাম্পার ফলন