শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২১
প্রবাদ আছে ‘আইলোরে আশ্বিন, গা করে শিনশিন’। অর্থাৎ আশ্বিন মাস থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। কিন্তু গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) আশ্বিন মাসের শেষ দিন হলেও নওগাঁয় শীতের কোনো দেখাই নেই। উল্টো মনে হচ্ছে চৈত্র-বৈশাখের দাবদাহ চলছে। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পেড়েছে জনজীবন।
বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভ্যাপসা গরমের কারণে সবচেয়ে বিপদে খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদিন রোদে পুড়ে রাস্তাঘাটেই যাদের ঠাঁই হয় দিন শেষে তাদের দুর্দশার শেষ নেই। ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। শিশুরা ছাড়াও গরমে কাহিল হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। শুক্রবার মধ্যরাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে আবার দেখা দিয়েছে প্রখর রোদ।
বয়োজ্যেষ্ঠ রিকশাচালক মোজাফফর বলেন, ‘জীবনে এমন গরম দেখিনি বাপো। গাছের পাতাও লড়ে না। প্রচণ্ড রোদে গায়ের চামড়া জ্বলে যাচ্ছে। শরীর থেকেও প্রচুর পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিও হচ্ছে না। এখন তো শীত পড়ার কথা। কিন্তু যে হারে গরম পড়ছে তাতে তো জীবন যায় যায় অবস্থা।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন আবহাওয়া আমার জীবনে দেখিনি। এই সময় শীত পড়ার কথা। রাতে কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হতো। কিন্তু এখন তার উল্টো। আমার কাছে মনে হচ্ছে বর্তমানে বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য এমন হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রকৃতিতে গাছপালা কমে যাওয়া, শিল্প-কলকারখানা ও ইটের ভাটা বেড়ে যাওয়া।’
বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, নিম্নচাপের কারণে ভ্যাপসা গরম হচ্ছে। ২০-২১ অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাপসা গরম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়