সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নওগাঁর পত্নীতলায় কাটাবাড়ি খাল সেচ কাজের সুবিধার্থে পুণঃ খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন হাজারো কৃষক ও সমিতির সদস্যরা। এছাড়া আর্থিকভাবে লাভবান হবেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পত্নীতলা, বুজরুক,মাহমুদপুর,আজমতপুরসহ গ্রামের মানুষের কাটাবাড়ি খালের পাশ দিয়ে ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের প্রায় ৭০০ বিঘার মতো জমি আছে। কৃষকদের সুবিধার্থে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পত্নীতলা উপজেলার কাটাবাড়ী খাল পুনঃখনন কাজের উদ্ধোধন করা হয়।
কাটাবাড়ী খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লিমিটেড এর আওতায় এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প হতে ৩০লাখ ৫২হাজার ৬০৪টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়স করা হচ্ছে। ব্রাঞ্চ খালসহ মোট ৪হাজার ৮০০মিটার দৈঘ্য পুণঃখনন,৭টি রেফারেন্স লাইন,২টি উপ প্রকল্প চিহ্নিত করণ সাইনবোর্ড এবং ৪৪টি ডিমারকেশন পোষ্ট বসানো হয়েছে।
স্থানীয় বুজরুক গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, খালটি পুনঃখনন করায় আমাদের অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ সুবিধা পাবো আমরা। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা কৃষকরা অনেক খুশি। আশা করছি কৃর্তপক্ষ দ্রুত খালটি পুনঃখনন সম্পূর্ণ করবেন।
মাহমুদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান বলেন, খালটি খননের জন্য এলাকাবসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। বর্তমানে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে জেনে আমরা আনন্দিত। এই খাল খনন কাজ শুরু হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
আজমতপুর গ্রামের জামাল হোসেন, বুজরুক গ্রামের বেলাল হোসেনসহ কয়েক কৃষক বলেন, খালটি পুনঃখননের ফলে আমাদের অনেক উপকার যেতে যাচ্ছি। ইরি-বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবো। বর্ষাকালে জমিতে পানি জমে থাকা থেকে রেহাই পাবো। হাঁস পালন ও সবজি চাষসহ বিভিন্ন আবাদ করতে খালটি পুনঃখনন করার কারনে আমরা সার্বিকভাবে লাভবান হবো।
পত্নীতলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমতিয়াজ জাহিরুল হক বলেন, খালটি পুনঃখনন হয়ে গেলে পানি জমে থাকার সেচ কাজে সুবিধা হবে ঠিক তেমনি বর্ষা মৌসুমেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভ‚মিকা রাখবে। এতে করে হাজারো কৃষক উপকৃত হবে।
অন্যদিকে খালের পানিতে হাঁস পালন করে বেকার যুবকরা স্বাবলম্বি হওয়ার পাশাপাশি মাছ শিকার করে আমিষের চাহিদাও পুরন হবে। ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমিয়ে বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখতে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে খালটি পুনঃ খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কৃষি বিপ্লব ও আধুনিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ উদ্দেশ্যে তা বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অংশ। কৃষকদের সকল সুযোগ সুবিধায় বর্তমান সরকার এগিয়ে এসেছে এবং আমরা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি দ্রুতই কাজটি সম্পূর্ণ করা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়