শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
নিয়ামতপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের রসুলপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেজিকেল অফিসার (স্যাকমো) আফজাল হোসেনের ভবিষৎ তহবিলের (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ২৭লাখ ৪০হাজার টাকা গায়েব হওয়ার পরও সংস্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখনও দায়ের হয়নি বিভাগীয় মামলা। বারবার তদন্তের নামে বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী আফজাল হোসেনের।
গত ২৭ জানুয়ারী গণমাধ্যমে “প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ” ও “কর্মকর্তার ২৭লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে সর্বত্রয়। ঘটনার তদন্তে নওগাঁ ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ও সহকারী পরিচালক (সিসি) ডাঃ মোঃ কামরুল আহসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্তটিম গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটিকে তদন্ত রির্পোট প্রদানের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
ঘটনার তদন্তে গত ৪ জানুয়ারী তদন্তে আসেন ওই কমেটির সদস্যরা। পরিবার পরিকল্পনা অফিস, সোনালী ব্যাংক ও হিসাব রক্ষন অফিসের বিভিন্ন নথি দেখেন তারা।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন ও তাঁর কার্যালয়ের অফিস সহকারী আতাউল গণির যোগসাজশে আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগ দায়ের করেন রসুলপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল াফিসার (স্যাকমো) আফজাল হোসেন। এর পরপরই ২৬ জানুয়ারী তদন্তে আসেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কুস্তরি আমিনা কুইন। দ্বিতীয় দফায় রবিবার আবারো তদন্তে আসেন তিনি। তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির রির্পোট এখনও পাওয়া যায়নি। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির নির্দেশে আজ রবিবার আবারো তদন্তে এসেছেন তিনি ।
টাকা গায়েবের ঘটনায় কেন এখনও বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে কুস্তরি আমিনা কুইন বলেন, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেকোন পদক্ষেপ গ্রহনের এখতিয়ার আমার নেই। তদন্ত চলমান। তবে তদন্তকমিটির রির্পোট পাওয়ার পরপরই তা সুপারিশ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
স/এমএমআই
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়