শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষে বদলে গেছে বহু কৃষকের ভাগ্য। এ বছর আশানুরূপ দামের চেয়েও বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। তাই বেশি করে সবজি চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেই এখন কৃষক ঘরে তুলছেন নগদ অর্থ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব সবজি। বিভিন্ন জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা আগ্রহের সঙ্গে ট্রাকে করে লাখ লাখ টাকার ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, কুমড়া, সিম, লাউ, বরবটি,পালং শাক ও লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে এ উপজেলার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। সাংসার পরিচালনা ও বাড়তি উপার্জনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে হাজার হাজার বিঘা জমিতে নানা প্রজাতির সবজি চাষের সমারহ। প্রতি কেজি নতুন আলু ২০/২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫/৪০ টাকা, ফুলকপি ৩৫/৪৫ টাকা, ওলকপি ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পটোল ২৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মূলা ২০/২৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, খিরা ৫৫/৬৫ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কৃষক মিলন হোসেন জানান, অভাবের সংসারে কি করবেন তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে তিনি শুরু করেন সবজি চাষ। আর এই সবজি চাষে বদলে গেছে তার ভাগ্য। পরিবারের আর্থিক কষ্ট অনেকটা কমে গেছে। গত বছর শীত মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে তিনি সবজি চাষ করে প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা আয় করেছেন। এ বছর তিনি সবজি চাষ করেছেন সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে।
আধাইপুর ইউনিয়নের লৎফর মিয়া জানান, গত বছর ১০ কাঠা জমিতে টমেটো চাষ করে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। ফলে এবছরও তিনি টমেটো চাষ করছেন। ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন। তার চোখে এখন রঙিন স্বপ্ন। গত বারের চেয়ে এবার দামও অনেক বেশি। আশা করছেন আগের বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি লাভবান হবেন।
পাহাড়পুর ইউনিয়নের মোকারম জানান, লাউ চাষে দুটি লাভ খুঁজে পান তিনি। প্রথমে লাউ বিক্রি, এরপর লাউয়ের ডগা বিক্রি। চলতি বছরে ১ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন তিনি। মাচা তৈরিসহ তার খরচ হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা লাউ বিক্রি করেছেন ।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলী জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিভন্ন স্থানে প্রায় ৪ হাজার একর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষবাদ হয়েছে। বাজারে দামও ভাল রয়েছে। আগামীতে উপজেলায় সবজি চাষ আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়