শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০
বিক্রিত জমি ফেরত না পেয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে জনৈক মোঃ আকরাম আলী সরদার নামের এক ব্যক্তি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে তার অপন ভাইসহ ঐ গ্রামের অন্য ৫ জন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যথাযথ গুরুত্বে সাথে বিষয়টির তদন্তু শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে আনীথ অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল আরও দু’জনের অভিযোগ তদন্তের দিনক্ষণ ধার্য হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তরা অভিযোগকারী মোঃ আকরাম হোসেন নিজেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে তদন্তের দাবী করে কাউন্সিলে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী সরদারের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আকরাম হোসেন তাঁর কিছু জমি ঐ গ্রামের আয়েজউদ্দিনের পুত্র মোঃ আনিছুর রহমানের নিকট বিক্রি করেন। তিনি দাবী করেছেন পরবর্তীতে ঐ জমি তিনি ফেরত প্রদানের কথা। কিন্তু সেই জমি পরবর্তীতে আনিছুর রহমান ফেরত না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত আনিছুর রহমান, আনছিুর রহমানের ভাই মোঃ ফজলার রহমান, মোঃ হাবিব সলিমুল্লাহ, এস এম আব্দুস সাত্তার- এর নামে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের অপরাধতারা আনিছুর রহমানের সাথে উঠাবসা করেন এবং তাঁরা বললেই তাঁর জমি ফেরত দিবেন আনিছুর রহমান। অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা তাউন্সিলের স্মারক নং৪৮.০২.০০০০.০০৪.০০.০৫৬.১৫-১৩৫ তরিখ ০৬ অক্টোবরমোকাবেক পত্রে অনুষ্ঠিত তদন্তে এদের মধ্যে আনছিুর রহমান এবং ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলেপ্রমানিত হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত আকরাম হোসেন পরবর্তীতে আনিছুর রহমানের অপর সহযোগি গোলাম মোস্তফা এবং আকরামের আপন ভাই মোঃ অজহার আলী সরদারের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ দায়ের করেন।
যার তদন্ত আগমাী ৮ এপ্রিল কাউন্সিলে হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা যার এফ এম নং ১১০৮, জাতীয় তালিকা নং ১৭০, ভোটার সুচক নং ৬৪-৬০-৭৩-০১৪, লাল মুক্তি বার্তা নং ০৩০৫০১০৪২৩, গেজেট নং ৯১৩ দাবী করেছেন যেসব মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা সবাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বরং অভিযোগকারী আকরাম হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কিনা সন্দেহজনক। কারন উক্ত আকরাম হোসেন ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন। ৬ মাসের ট্রেনিং পিড়িয়ড, ১ মাসের ছুটি কাটানোর পর পুরো দেড়বছর পাকিস্তানে চাকুরী করেঝেন। এ নিয়ে প্রায় আড়ই বছর পার হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ১৯৭১ সলে তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা কতটুকু সুযোগ ছিল তা বিবেচ্য বিষয়।
অভযক্তদের দাবী তিনি পাকিস্তান থেকে এসে পালিয়ে ছিল। নওগাঁ জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১- এরসাধারন সম্পাদক উক্ত গোলাম মোস্তফা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ ব্যপারে বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ছাড়াও তাঁর দ্বারা নানাভাবে হয়রানী ও অপদস্ত হওয়ার কারনে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে পরস্পর বিরোধী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারনে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স/মা
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়