শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০
শহরের বুক-চিরে বয়ে যাওয়া তুলসীগঙ্গা নদী কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। দিনদিন স্থানীয় প্রভাব শালীরা এ নদীর কিছু জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে, বলে অভিযোগ উঠেছে।
তুলসীগঙ্গা নামের সাথে মিল রেখে নদীর বুকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি সেতুর নাম দেয়া হয়েছে তুলসীগঙ্গা ব্রিজ। এ নদী দেখে আর নদী মনে হয় না। যে নদীর মাছ ধরে জেলেদের সংসার চলত, সেই নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছে না। কৃষকরা জমিতে নদীর পানি দিতে পারে না।
এককালের প্রবাহমান নদী তুলসীগঙ্গা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে নদী পারের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অভাব, কষ্ট আর দুর্দশা। এলাকাবাসী জানায়, এক সময় তুলসীগঙ্গা নদীতে সারাবছর পানি থাকত। কিন্তু গত ২০বছর ধরে এ নদীতে আর পানি থাকে না।
প্রভাব শালীরা এ নদীর কিছুটা জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু কারো নজর নেই। তবে সুরমা মাল্টি-পারপাস এর বিরুদ্ধে নদী পারের কিছুটা জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। যখন কোন রাস্তাঘাট ছিলনা তখন এ নদী পথে অনেক ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করত। নদী পথেই এই এলাকার মানুষ নৌকাযোগে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন।
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষেরা এ নদীর পারে বিভিন্নভাবে পূজা করত। নদী পারের হাটে দিনরাত হরেক-রকমের মানুষের সমাগম হতো। জেলেরা মাছ শিকার করে সংসার চালাত আর মাঝি-মাল্লারা ব্যবসায়ীদের নৌকা চালিয়ে রোজগার করত। কৃষকরা নদীর পানি দিয়ে জমি চাষাবাদ করতেন। কিন্তু এখন নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারেন না।
সেই নদী এখন কালের বিবর্তনে যৌবন হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদী পারের মারুফ হাসান বলেন, তুলসীগঙ্গা নদী আমাদের নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী একটি নদীর নাম। এ নদীর বুকে বালুচর জেগে গভীরতা কমে ফেলেছে, তাই খনন না করলে আগামীতে এখানে যে নদী ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে না। বয়স্ক শেরআলী মাঝি বলেন, নদী আছে, নৌকাও আছে, নেই শুধু পানি।
পানি না থাকায় নৌকা চলে না, মাছ শিকার করা যায় না। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছি ভাই।
স/র
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়