সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪
জীবন যুদ্ধে হার না মানা সংগ্রামী নারী নওগাঁর সাবিনা ইয়াসমিনের পাশে দাঁড়িয়েছে মালিশা ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা সাবিনার হাতে উপহারের ল্যাপটপ তুলে দেন।
ল্যাপটপ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, আমি কী পরিমাণ খুশি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এই ল্যাপটপ দিয়ে এখন সহেজেই কাজ করতে পারব। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালিশা ফাউন্ডেশনকে অশেষ ধন্যবাদ।
মালিশা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জাহিদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১০ মার্চ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘কম্পিউটার কেনার মতো সামর্থ্য নেই টাইপরাইটার সাবিনার’ এমন একটি সংবাদ আমাদের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে তার পাশে দাঁড়াতে একটি ল্যাপটপ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে মালিশা ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, মালিশা ফাউন্ডেশন চীন থেকে পরিচালিত হয়। যারা সারা পৃথিবীতে সুবিধাবঞ্চিত কিন্তু মেধাবী এমন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ১৫ দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া মালিশা এডুকেয়ার নামে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের একটা পার্ট হচ্ছে মালিশা ফাউন্ডেশন। এখানে আমরা যেসব শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না তাদের উচ্চতর শিক্ষায় অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের হেড অফিস চীনে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশে আমাদের অফিস রয়েছে। আমরা শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া লোকজনকেও সহায়তা করে থাকি।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, সংগ্রামী সাবিনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালিশা ফাউন্ডেশনকে সাধুবাদ জানাই। তাদের দেওয়া উপহারে সাবিনা এখন সহজেই তার কাজ করতে পারবেন। এভাবে সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে অনেকের জীবনই আরও সহজ হবে।
এসময় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, প্রথম আলোর নওগাঁ প্রতিনিধি ওমর ফারুক, ঢাকা প্রকাশের নিজস্ব প্রতিনিধি সামিনুর রহমান, দেশ রূপান্তরের পারভেজ রহমান, ঢাকা মেইলের সুমন আলীসহ অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ি নওগাঁ শহরের বাইপাস ব্রিজ এলাকায়। এক যুগ ধরে নওগাঁ জজ কোর্টের সামনে টাইপিস্টের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। টাইপ রাইটিংয়ের কাজ করেই এক মেয়েকে নওগাঁ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করাচ্ছেন তিনি।
সাবিনা বিয়ে করেছিলেন ২০০৬ সালে। দুই বছর পর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শিশু মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ঠাঁই হয় তার। এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় ১০ হাজার টাকায় একটি টাইপ মেশিন কিনে ২০০৯ সাল থেকে জজ কোর্ট চত্বরে টাইপিস্টের কাজ করেন তিনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়