শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৯
রমজান মাস আসলেই যেন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নওগাঁর ধামইরহাটের অতিলোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজান আসার সাথে সাথেই বাড়িয়ে দেন নিত্যপণ্যের দাম। পণ্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতিতেও উপজেলার খুচরা বাজার গুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতাসাধারণ। রোজায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য স্থানীয় মুনাফালোভী আড়তদার, পাইকারী ও কিছু খুচরা ব্যাবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য চড়াদামে বিক্রয়ের অপেক্ষায় সুযোগ বুঝে স্টক করে রাখা এখন তাদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
এ বছর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে- এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন ‘রোজায় চাহিদা অনুযায়ী আমদানি কম থাকায় কিছুকিছু সব্জির দাম যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি কমেছেও।’
অন্যদিকে, রমজানে নিত্যভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হবে না বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এমন ঘোষনা দেবার পরও রোজার আগেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে নিত্যপণ্যের বাজার। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অতীতের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ছোলা, খেসারি, মসুর ডাল, বুট, লবণ, চিনি, সয়াবিন তেল, পেয়াজ ইত্যাদি ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ। তবে ফলমূল বিশেষ করে তরমুজের দাম ক্রেতা সাধারণে ক্রয় ক্ষমতার একদম বাইরে, তার সাথে সাথে বেড়েছে শসা ও লেবুর দামও।
ধামইরহাটের মুরগী ব্যবসায়ী মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ কম হওয়ায় বর্তমান ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বেশিদামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গরুর মাংস ৫৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ দিন গত সপ্তাহের চাইতেও চড়াদামে মাছ বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে, শিং মাছ ৪০০-৫৫০, পাঙ্গাশ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই মাছ, ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতলা ২৩০ থেকে ৫শত টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, ‘রমজানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের জিম্মি করার পাঁয়তারা সব জায়গায় করে, তবে আমরা ধামইরহাটে বাজার মনিটরিংয়ের ৭ সদস্য বিশিষ্ট ১টি কমিটি গঠন করে দিয়েছি।’
/নু/৭
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়