শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২০
নওগাঁর ধামইরহাটের কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আমন ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এসব ধানবীজ বিতরণ করা হয়। এদিকে নতুন জাতের ধানবীজ বিনামূল্যে পেয়ে কৃষকগণকে বেশ উপকৃত হচ্ছেন।
জানা গেছে, চলতি আমন মওসুমে এবার ধামইরহাট উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ৭ শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃৃষি বিভাগ।
অধিকাংশ জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান রোপন করা হয়। বছরের পর বছর একই জাতের ধান চাষ করায় ধানের রোগ বালাই বেশি দেখা দিতে শুরু করেছে।
এছাড়া এ ধানচাষে সময় বেশি লাগে। এসব বিবেচনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০ জন কৃষককে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৮৭ জাতের ধানবীজ প্রদান করা হয়।
উপজেলার চাঁনকুড়ি গ্রামের কৃষক মো.মুকুল হোসেন বলেন, একই জমিতে বছরে যেন তিন ফসল উৎপাদন করার জন্য আগাম জাতের এ ধান চাষ করবো।
ধানবীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আসাদুজ্জামান, ধামইরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আজিজ,সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাবু, সাংবাদিক হারুন আল রশীদ, রেজুয়ান আলম ও এলাকায় কৃষকগণ।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন, করোনা পরবর্তীতে দেশে যাতে খাদ্যের সংকট না হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে একই জমিতে বছরে যাতে তিন ফলন ফলানো যায় সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় ব্রিধান-৮৭ বীজতলা থেকে ধানকাটা পর্যন্ত মাত্র ১২৫ থকে ১৩০ দিন সময় লাগে। প্রতি একরে ৬০ থেকে ৬৫ মণ হারে ফলন হবে। এ ধানের চাল লম্বা ও চিকন ভাত ঝরঝরে।
এই ধান অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধান কাটামাড়াই শেষ হয়। কৃষক ওই জমিতে রবি শস্য হিসেবে আলু, সরিষা, গম চাষ করতে পারে।
এরপর আবার ইরি বোরো ধান চাষ হবে। একই জমিতে বছরে তিনটি ফসল অনাসে চাষাবাদ করা যায়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়