শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ মে ২০১৯
নওগাঁর ধামইরহাটে ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পুড়ছে শতাধিক বিঘা জমির ফসল। ভুক্তভোগীদের প্রায় শতাধিক বিঘা জমির কলাগাছের পাতা পুড়ে যাচ্ছে এব্ং ১০ একর জমির ধান কালচে রং ধারণ করায় হতাশ ওই এলাকার দরিদ্র কৃষকগণ এছাড়াও ৪ বিঘা জমিতে নাকফজলী, বারি-৪সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আম ও বিপুল পরিমানপেয়ারা গাছ ইটভাটার ধোয়ায় পুড়ে গেছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে রোপিত মানিক, চিনিচাম্পা ও বিভিন্ন সুস্বাদু জাতের কলা রোপন করেছেন আলমপুর ইউনিয়নের চৌঘাট, রসপুর ও নন্দনপুর গ্রামবাসী।
অভিযোগকারী কলা বাগানচাষী কাজেম আলী, তফিকুল ইসলাম, নুর ইসলাম ও আমবাগান চাষী ফরিদুল ইসলাম, অভিযোগ করেন ৮০ থেকে ১০০ হাত দুরবর্তী ৪টি ইটভাটা, এই ভাটাগুলোর বিষাক্ত ধোয়ায় কলাগাছের পাতা মরে যাচ্ছে এবং ধানে কালচে রং বরণ ধারন করছে।
ভাটা মালিক আবু সাইদ, লাভলু ও মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের হাওয়া ভাটায় কোন ক্ষতি হবে না, তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাটা বন্ধের সময় যে ধোয়াটা ছাড়া হয় তা থেকে জলীয় বাষ্প আকারে যে ধোয়াটি বের হয়, মুলত সেটিই ক্ষতির মুল কারণ, যার সত্যতা ভাটা মালিকগণ স্বীকার করেছেন।
যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা আছে যে, কোন লোকালয়ে কোন ইটভাটা দেয়া যাবে না। সেখানে আলমপুর ইউনিয়নে ৫০ গজের ব্যবধানে ৪টি ইটভাটা কিভাবে অনুমোদন করা হলো, সেটিই এখন জনমনে প্রশ্ন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ৫৫ জন কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, আমি ঘটনার বিষয়টি অবগত আছি এবং যেহেতু ইটভাটার কারণে এমন ক্ষতি হয়েছে, তাই এর ক্ষতিপূরণ ভাটা মালিকদেরকেই দিতে হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়