শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯
আট হাজার থেকে ২৮ হাজার দর্শক ধরে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ক্রিকেট যদিও সারা বছর লেগে থাকে। কিন্তু ফুটবলের মতো ক'জন তার খোঁজ রাখে। ফুটবল মাঠে 'লাখো' দর্শকের গমগমে শব্দ যেন মৌমাছির গুঞ্জন। ভিন্ন দেশি মোহামেদ সালার প্রিমিয়ার লিগ গোলের হিসেব রাখেন ইংলিশরা। ম্যানইউ-ম্যানসিটি নতুন কোন ফুটবলার কিনছেন সে খবর আছে তাদের ঝুলিতে। কিন্তু মরগানদের নিয়ে অতো মাথা ব্যথা নেই ইংলিশদের। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হবার অপেক্ষা। ইতিহাস অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ডের। চতুর্থবারের চেষ্টায় প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ তাদের সামনে।
মঞ্চ কিউইদের জন্যও প্রস্তুত। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। মাঠ এবং মাঠের বাইরে কিউইরা সেটার প্রমাণ দিয়ে যান। টানা দু'বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন হলে কেন উইলিয়ামসনরা পাবেন ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসা। হারলেও তাদের বাহবা দেবে নিজ দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। রাগবির দেশ নিউজিল্যান্ড ২০১৫ বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলেছে। নিজ দেশে ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। ইংল্যান্ড থেকে শিরোপা জিতে তাসমানের পাড়ে নিতে পারলে ক্রিকেটের মাঠে আরও একটা বড় জোয়ার আছড়ে পড়বে।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে জঙ্গি হামলা, ক্রিকেটারদের গায়ে তার আঁচ লাগা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল হওয়ার কারণে থমকে যায় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট। সেখানে আবার নতুন সূর্য উঠবে নিশ্চয়। তবে যে দলই জিতুক ২৩ বছর পর ক্রিকেট বিশ্ব দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপের ট্রফি ছুঁয়ে দেখবে নতুন কিছু হাত। রোববার লর্ডসে ফাইনাল জয়ের লড়াইয়ে নামবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দুই দেশ। লর্ডসও নতুন ইতিহাস লেখার অপেক্ষায় খাতা-খতিয়ান খুলে বসেছে। হোম অব ক্রিকেটে থেকে শিরোপা তাসমান দ্বীপে যাবে নাকি বাড়িই থাকবে এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ক্রিকেট শুরু থেকেই ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে 'বিমাতা' সুলভ আচরণ করে গেছে। এবার মুখ তুলে তাকিয়েছে! আবার বিমাতা দুই পক্ষকে মুখোমুখিও করেছে। স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখবে এক দল। কাঁদবে অন্যজন। এ নিয়ে বিশ্বকাপের ১২তম আসর মাঠে গড়াচ্ছে। প্রথম দশ আসরে নিউজিল্যান্ড পাঁচবার সেমিফাইনালে ওঠে। কিন্তু চার ধাপ আর মাড়াতে পারেনি তারা। যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আয়োজিত ২০১৫ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেও হারে কিউইরা। এবার আবার শ্রীলংকার মতো টানা দুই বিশ্বকাপে কিউইরা হারে কি-না কে জানে। শ্রীলংকার ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।
ইংল্যান্ডের দুঃখ আরও বেশি। সে শুধু ক্রিকেট নয় ফুটবলেও। ঈশ্বরের চোখ যেন তাদের দেশে পড়ে না। ফুটবলে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। অন্য আসরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ই যেন তাদের নিয়তি। সেমিফাইনালে বিদায়-বাছাইপর্ব উৎরাতে না পারার গল্প তো আছেই। ক্রিকেটের আবার জনক তারা। আগে তিনবার ফাইনালে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্বেও বিদায় নিয়েছে। ভাগ্য এবার কি হবে প্রসন্ন! ক্রীড়াঙ্গনে শেষ দুই বছর অবশ্য ভালো যাচ্ছে ইংল্যান্ডের। রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা। তার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনাল খেলা। চলতি বছর নেশন্স লিগের ফাইনালে ওঠা। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। ক্রিকেট বিশ্বকাপটাও কি পোমসদের হাতেই উঠবে?
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়