বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সাদা টপের ওপরে কমলা রঙের জ্যাকেট, তার সঙ্গে সাদা ট্রাউজার আর হাই হিলে সুসজ্জিতা নারী। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এমন পোশাকে কোনো নারীকে দেখা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সৌদি আরবে এতদিন তা ছিল খুবই অবিশ্বাস্য ঘটনা।
সম্প্রতি এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটিয়েছেন সৌদি নারী মাশায়েল আল-জালৌদ। এমন পোশাক পরে রিয়াদের শপিংমলে ঘুরে বেড়ালেন তিনি। খবর কুয়েত টাইমসের
৩৩ বছর বয়সি এই নারী একটি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করেন। পাশাপাশি নিজের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছেন মানবাধিকার রক্ষার লড়াই। গত সপ্তাহে বোরকা ছাড়া পশ্চিমা পোশাকে রিয়াদের মলে যাওয়া সেই আন্দোলনেরই অংশ।
রক্ষণশীল মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরবে প্রকাশ্য রাস্তায় বের হতে হলে মেয়েদের কালো বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। ধর্মের প্রতীক হিসেবেই বিষয়টিকে দেখা হয়। সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি নারী ক্ষমতায়নের কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, মেয়েদের পোশাক নিয়ে কড়াকড়ি কমানো হবে। ইসলাম ধর্মে বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু সমাজে এর কোনও প্রভাব পড়েনি।
ব্যতিক্রমী মাশায়েল জানান, তিনি বোরকা পরা ছেড়ে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাকে শপিংমলে দেখে অনেকেই বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিলেন। ভেবেছিলেন মাশায়েল কোনও তারকা। কেউ কেউ তো মাশায়েলকে প্রশ্নও করেছেন, ‘আপনি কি বিখ্যাত কেউ? কোনো মডেল?’
জবাবে মাশায়েল হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘না, আমি শুধু আমার মতো বাঁচতে চাই।’
রিয়াদের রাস্তায় মাশায়েল- সংগৃহীত ছবি
মাশায়েলের মতো বোরকা পরা ছেড়ে দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী আরেক মানবাধিকার কর্মী মানাহেল আল-ওতাইবিও। তিনি জানান, গত চার মাস ধরে রিয়াদে আছেন তিনি, বোরকা আর পরেন না।
মানাহেল বলেন, ‘ আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।’
তবে এজন্য অনেকবার বিপদে পড়তে হয়েছে মানাহেলকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমনকি সৌদি রাজপরিবার থেকেও শুনতে হয়েছে, ‘মানাহেল বিখ্যাত হতে চান, তাই এই সব ছলচাতুরি।’
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়