শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯
সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে বাসাভাড়া নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। ঘটনার পাঁচ দিন পর নিহত ওই নারীর স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গণপিটুনিতে নিহত ওই নারীর নাম সালমা বেগম (৩৭)। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার মুসলিমাবাদ গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে এবং সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুর মহল্লার মিজানুর রহমানের স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এমারত হোসেন গত মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তার পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের চাচা কোহিনূর ইসলাম জানান, তার ভাতিজি সালমার সঙ্গে সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ১০-১২ বছর আগে মিজানুর তার ভাতিজিকে ডিভোর্স দিয়ে আবারও বিয়ে করেন। মিজানুর তাদের তিন মেয়ে মিতা, মনিকা ও মিসকাতকে তার কাছেই রেখে দেন। সালমা ডিভোর্সের পর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের মুসলিমাবাদ এলাকায় তার বাবার বাসায় থাকতেন এবং মাঝেমধ্যেই মেয়েদের দেখতে সাভারের ইমান্দিপুর স্বামীর বাড়িতে যেতেন।
নিহতের মা বছিরুন খাতুন বলেন, গত শুক্রবার সকালে তার মেয়ে সালমা মেয়েদের দেখার জন্য গ্রামের বাড়ি মুসলিমাবাদ থেকে সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়। সেদিন রাতে সামলা সিঙ্গাইরের ধল্লা এলাকায় বোনের বাসায় থেকে শনিবার সকালে সাভারে যায়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে আমরা জানতে পারি, শনিবার সাভারের তেঁতুলঝোড়ায় একটি বাসা দেখতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে সালমাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এমারত হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই। সালমা বেগম গত শনিবার দুপুরে তেঁতুলঝোড়া এলাকায় বাসাভাড়া নিতেই গিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ২১ জুলাই রাতে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭-৮শ' জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়