বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি। মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবী আদায় করতে গিয়ে আমাদের যে সব ছাত্র ভাইয়েরা হাসি মুখে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীনভাবে মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি, মনে প্রাণে আমর কি তাদের কথা স্মরণ করছি?
নওগাঁ জেলার অন্যতম সাপাহার উপজেলায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে রয়েছে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার ৫০বছরেও সে সব প্রতিষ্ঠানে ভাষা সৈনিকদের কথা স্মরণ করতে একটি প্রতিষ্ঠানেও তৈরী হয়নি কোন শহীদ মিনার। এছাড়া সরকারী কলেজও স্কুল এন্ড কলেজসহ মোট ৭টি বড় বিদ্যাপিঠ থাকলেও কেবল সরকারি বিদ্যাপিঠ, সরকারি কলেজেই রয়েছে একটি মাত্র শহীদ মিনার।
মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৫টি শহীদ মিনার রয়েছে ৮টি এছাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৬টি এর মধ্যে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করার জন্য শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৩টি। প্রতিবছর ঘুরে ২১ফেব্রুয়ারী ফিরে আসলে আমারা সেই শহীদ ভাইদের কথা স্মরণ ও ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে জানাতে শহীদ দিবসটি পালন করি কিন্তু অভিজ্ঞ জনদের মতে দিবসটি পালন করতে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক। যেসব শিক্ষা প্রতষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে আমরা কেবলমাত্র সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই দিবসটি পালন করে থাকি।
অন্যরা দিবসটি পালন হতে বিরত থাকেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ভবিষ্যত প্রজম্মের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের কথা স্মরণ ও ২১ এর চেতনা মূল্যবোধ থেকেও উপেক্ষিত হচ্ছেন। যাদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি তাদের স্মৃতি স্মরণ হতেই আমরা বিরত থাকছি।
উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অবিভাবকগণ ও অভিজ্ঞমহল আগামীতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছোট পরিসরে হলেও একটি করে শহীদ মিনার তৈরী করার জন্যসরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দুষ্টি কামনা করছেন।
স/এমএমআই
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়