বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
নওগাঁর সাপাহারে জমির ধান খাওয়ার অপরাধে একটি এঁড়ে গরুকে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
সাপাহার থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী হাঁপানিয়া কৃষ্ণসদা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে দিনমজুর হাবিবুর রহমানের পালিত একটি এঁড়ে গরু গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে কৃষ্ণসদা উত্তর মাঠে নদীর ধারে চড়ে বেড়ানোর সময় অসাবধানতা বশত একই এলাকার শিয়ালমারী আন্ধার দিঘী গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে এরশাদ আলীর ধানী জমিতে প্রবেশ করে ধান খেয়ে ফেলে।
এ সময় জমির মালিক এরশাদ আলী লাঠি দিয়ে তার গরুটিকে পিটাতে থাকে। লাঠির আঘাতে গরুর একটি পা ভেঙে যায়। এরশাদ আলী অমানবিক ভাবে গরুর পেটে বাঁশের লাঠি দিয়ে গুতিয়ে গরুটিকে হত্যার চেষ্টা করে।
গুরুত্বর আহত ওই এঁড়ে গরুটিকে স্থানীয় খোয়াড়ে না দিয়ে প্রতিহিংসা মূলকভাবে সে পার্শ্ববর্তী পাতাড়ী ইউনিয়নের কলমুডাঙ্গা চৌমুহনী খোঁয়াড়ে জমা দিয়ে আসে।
খবর পেয়ে গরুর মালিক হাবিবুর রহমান ওই দিন রাত ৯ টায় খোয়াড়ে গিয়ে গরুটিকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অসুস্থ গরুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন ও স্থানীয় একজন পশু চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানোর এক পর্যায় গত ৫ সেপ্টেমম্বর ভোর রাতে এঁড়ে গরুটি মারা যায়।
গরুর মালিক হাবিবুর রহমান জানান, ওই গরুটি তার একমাত্র সম্বল ছিল। অমানবিক ভাবে নির্যাতনের কারণে গরুটি মরে যাওয়ায় তার প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত এরসাদ আলীর বিরুদ্ধে সাপাহার থানায় ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়