শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯
নওগাঁর সাপাহারে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গ্রাম বাংলার ঐত্যিবাহী গম্ভীরা মেলায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মেলাটি বাংলা বছরের ২য় দিন উদযাপন করা হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার পাশ্ববর্তী মানিকুড়া শিব মন্দির এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মানিকুড়া শিব মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে গ্রাম বাংলার গম্ভীরা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বাঙ্গালিরা এ মেলা উপভোগ করেছে। দিনব্যাপী এ মেলায় সকল বয়সের মানুষ যেন বাধ ভাঙ্গা উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছিলো।
সাপাহার উপজেলায় বিনোদনের জন্য কোন আনন্দ কেন্দ্র না থাকায় বৈশাখ মাসের প্রথম দিন পাশের উপজেলা পত্নীতলার ঐতিহাসিক দিবর দিঘীতে ঘুরতে গিয়ে বিরক্ত হয়েছে অনেকে। দিবর দিঘীও তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে দেখার মত কিছুই নেই, নেই কোন বিনোদনের ব্যবস্থা। তাই এলাকাবাসীর দাবি, এলাকায় যদি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠে, তাহলে সাপাহার উপজেলা শিক্ষায় আরো এগিয়ে যাবে। পড়ালেখার ঘোর কাটাতে বিনোদনের প্রয়োজন আছে তাই অতিশীঘ্রই সাপাহার উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হলে নওগাঁ জেলায় শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা ও সর্বোচ্চ ফলাফল করে জেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করবে এ উপজেলা।
সাপাহার উপজেলার এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা মেলাটি যুদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিব পূজা হিসেবে সমবেত হয় তার পরেও এটি বৈশাখ উদযাপনে বাঙ্গালির সব ধর্ম বর্ণের মানুষের প্রাণের মেলায় রুপ নেয় প্রায় সকলে এ মেলায় সমবেত হয়। আধুনিক শহরের মেলায় চিরায়ত গ্রামীণ ঐতিহ্যের সেই শক্তিশালী অবস্থান আর নেই। যাত্রা বা নাটক প্রদর্শনীর স্থান দখল করেছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। কৃষিজাত পণ্যের স্থলে বেশি শোভা পায় শিল্পপণ্য, মাটির তৈরি হাতি ঘোড়া বাঘ সিংহ ও মাটির ব্যাংকসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনার স্থলে শোভা পেয়েছে প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক খেলনাই বেশি। এই মেলায় আধুনিকতার ছোয়াই বেশি আগের ঐতিহ্য তুলে ধরতে বিলুপ্ত হওয়া সংস্কৃতি গুলোকে প্রাধার্ণ দিতে হবে এবং সেগুলোকে সংগ্রহ করতে হবে এ মেলায়। তাই এই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মনে করেন এই গ্রাম বাংলার মেলাগুলো ধরে রাখতে হবে, তাহলে নতুন প্রজন্ম হারানো ঐতিহ্য সর্ম্পকে জানতে পারবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়