শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০১৯
নওগাঁর সাপাহারে আম চাষের প্রতি ঝুঁকেছেন কৃষকরা। অন্য ফসল চাষ করতে যে পরিমাণ খরচ হয় সে খরচ তুলতে পারেনা এ উপজেলার কৃষকরা। তবে আমের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম থাকায় কৃষকের ভাগ্য বদল হতে চলেছে।
এ উপজেলায় বর্তমানে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে গোপালভোগ, হিমসাগর, লকনা, নাক-ফজলি, ফজলি, নেংড়া, মল্লিকা, কালীভোগ, আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে তবে বেশি লাভ এবং দেরিতে ওঠা আম বারি-৪, বারি-১১, গৌড়মতী, আরশিনা ঝিনুক এই সব আম চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
এক সময় দেখা যাবে এত পরিমাণ আম বাগান হয়েছে যে ধান চাষের জন্য এ এলাকায় জমি পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমের দাম ভালো থাকায় এবং এ অঞ্চলের মাটি ভালো হওয়ায় আমের ফলন ভালো হয়। সেই সাথে আম রসালো, মিষ্টি এবং খুবই সুস্বাদু হয়। তাই এই অঞ্চলের আমের, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে।
বর্তমানে জেলার এই উপজেলার বড় আকারে আমের বাজার গড়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীগণ প্রতিদিন ট্রাকে করে শতশত গাড়ি আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় (মোকামে) আম বাজারজাত করছেন। ফলে কৃষক আমের দামও ভালো পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাপাহার আমের শহর নামে সুনাম অর্জন করেছে।
উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিম, জবই গ্রামের আব্দুল জব্বার, শীতল গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে আমের বাজারে আমের ভালো দাম থাকায় আমরা অনেক খুশি এবং অনেক লাভবান হতে পারব বলে মনে করি। তবে কোনো সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়ে যেন আম বাজারে আমের দামে ধস না নামে, শেষ পর্যন্ত যেন আমের দাম ভালো থাকে সে জন্য আম বাজারে স্থানীয় প্রশাসনের সু-নজর থাকে এই দাবি জানান। যেহেতু আম সিজনাল ফসল তাই আমগুলো কিছুদিন সংরক্ষণ করে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে অধিক লাভে বাজার জাত করার জন্য সংরক্ষণে রাখার জন্য উপজেলায় সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবিও জানান তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মজিবর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাপাহারে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৭ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হিসেবে সারা সাপাহারে এবারে ৮০ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার মেট্রিক টন আম কেনাবেচা হচ্ছে বলে জানান তিনি
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়