শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সুসংবাদ হলো, তাদের মধ্যেই দু’জনাই এখন শঙ্কামুক্ত। এমনকি দেশে নতুন করে কারও শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি-এমন তথ্য জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
অথচ, বিএনপি-জামায়াত চক্র করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের বিভ্রান্তিমূলক ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করছে। শুধু তাই নয়, এই চক্রের ব্যবসায়ীরা সরকারকে চাপে ফেলতে বাজারে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দ্বিগুণ দামে কিনছে এসব প্রতিরোধক পণ্য।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সরকারকে যে কোন উপায়ে চাপে ফেলতে তৎপর স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি চক্র। এ কারণে তারা যখন দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানতে পারে, তখনই আঁটে ফন্দি। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র তারা করোনা প্রতিরোধক পণ্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়িয়ে দিয়েছে এসব পণ্যের দামও। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে এই অপপ্রয়াসে লিপ্তদের অনেককেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে, করা হচ্ছে জরিমানা। যাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিতে দেখা গেছে, তাদের সিংহভাগই জামায়াত-বিএনপির সমর্থিত ব্যবসায়ী এবং সক্রিয় নেতা-কর্মী। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য হচ্ছে, রাজধানীতে যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন, তারা সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের হয়ে প্রচারণা কাজ চালিয়েছেন। যার সত্যতা স্থানীয়রাই নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, সুযোগ নিয়ে মানুষের সর্বস্ব লুট করার অভ্যাস বিএনপির পুরনো। তারই ধারাবাহিকতায় তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস ইস্যুতে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাণিজ্যে। তারা এসব পণ্য মজুদ করে জনসাধারণের কাছে বিক্রি করছে গলাকাটা মূল্যে। এখানে মূলত তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার পন্থা অবলম্বন করেছে। ভেবেছে একদিকে নিজেদের উপার্জন হবে, অন্যদিকে চাপে ফেলা যাবে সরকারকে। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্যকে ইতোমধ্যে ভ্রান্ত ধারণাতে প্রমাণ করে দিয়েছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মজার ব্যাপার হলো, যাদেরকে অদ্যাবধি এ অপরাধে আটক করা হয়েছে-তারা সবাই-ই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ধরা পড়ার পর তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্যের কথা স্বীকারও করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, পাপ কখনো চাপ থাকেনা। প্রকাশ হয়েই যায়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়