বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯
শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের দোকানপাট ও মসজিদে হামলার জেরে সাময়িকভাবে ফেসবুক, ভাইবার, ইমো, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ ও ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ফেসবুকে শুরু হওয়া বিতর্কের জের ধরে রোববার (১২ মে) দেশটির পশ্চিম উপকূলীয় শহর চিলাওতে মসজিদ ও মুসলিমদের দোকানপাটে এলোপাতাড়ি পাথর ছুড়েছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে মারধরও করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সেখানে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। তারপরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় আব্দুল হামিদ মোহাম্মদ হাসমার নামে ৩৮ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকেই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। হাসমার তার পোস্টে লিখেন, ‘বেশি হেসো না, একদিন তোমাদেরও কাঁদতে হবে।’ একইসঙ্গে হুমকিস্বরূপ নানা সহিংসতার কথা উল্লেখ করা হয়।
হাসমারের পোস্টকে ‘ভীতিপ্রদর্শন’ হিসেবে মনে করে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তবে ফেসবুকে সত্যিকার কথোপকথন কী ছিল, তা জানা যায়নি।
তবে ইতিমধ্যেই এলাকার স্থানীয়রা হাসমারের মুক্তির জন্য দাবি জানিয়েছে। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সুমিত আটাপাতু।
দেশটির সরকারি তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক নালাকা কালুয়েভা বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায় রাখার জন্য অস্থায়ীভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ ও চারটি বিলাসবহুল হোটেলে ধারাবাহিক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪২ বিদেশি নাগরিকসহ ২৫০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। এই হামলার পর থেকেই দেশটিতে অরাজকতা বিরাজ করছে। নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে সেখানকার মুসলমানরা।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়