বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
নওগাঁর পোরশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাফিয়া আক্তার অপুর শত অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ আগষ্ঠ জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত, ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত, স্লিপের টাকা আত্নসাৎ, টার্মিনাল পরীক্ষার টাকা আত্নসাৎ ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ সহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ।
শিক্ষা কর্মকর্তা অপুর অনিয়মের ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রচারিত হলে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান ও মামলা করার হুমকি দেন তিনি। তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের নাজেহাল করার চেষ্টাও করেন। কোন সাংবাদিক অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য তার অফিসে গেলে উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অর্থের, অশালিন ও শ্লিলতাহানির অভিযোগ করেন এবং শিক্ষক নামধারী কিছু গুন্ডাবাহিনীকে ফোনে অফিসে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের নাজেহাল করার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক প্রধান শিক্ষক বলেন, ম্যাডাম খুব সুন্দরী। এই প্রধান হাতিয়ারকে ব্যবহার করে উপরের সবাইকে তিনি নিজের বসে রাখেন। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকার পরেও অদৃশ্য কারনে সব পার পেয়ে যান। এর মূলেই রয়েছে তিনি একজন সুন্দরী মহিলা কর্মকর্তা। তার জায়গায় অন্য কোন পুরুষ কর্মকর্তা হলে এতদিনে তার চাকুরী চলে যেতো।
সরেজমিনে জানা গেছে তিনি প্রতিটি স্কুল থেকে স্লিপের এক হাজার টাকা করে কমিশন নিয়েছেন। ২০১৯ সালের টার্মিনাল পরীক্ষার সকল ফি ব্যাংক একাউন্টের পরিবর্তে শিক্ষা অফিসার নিজ হাতে হাতে লেনদেন করেছেন। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির কাছে এখন পর্যন্ত কোন হিসাব পেশ করা হয়নি। সাউন্ড সিস্টেম (বক্সের) ভাড়া বাবদ ১২শত করে টাকা নিয়েছেন এবং এই টাকা উত্তোলন করেছেন তারই অফিস সহায়ক আবু মুসার মাধ্যমে।
আবু মুসা এ ব্যাপারে জানান, আমি নিয়ম নীতি তেমন জানিনা। ম্যাডাম টাকা তুলতে বলেছে, আমি টাকা তুলে অফিস সহকারী তসলিমের মাধ্যমে ম্যাডামের কাছে পৌছে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পোরশার শিক্ষা অফিসার অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আমি দেশের বাইরে থাকার কারনে ব্যাবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৯ সালের টার্মিনাল পরীক্ষার সদস্য সচিব সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ ওলিউল ইসলাম জানান, আমি পরীক্ষার কমিটির সদস্য সচিব হলেও কোন কারন ছাড়াই আমার কাছ থেকে সকল খাতাপত্র শিক্ষা অফিসার (অপু) নিয়ে নিয়েছে এবং যার কারনে সেই টার্মিনাল পরীক্ষার হিসাবের ব্যাপারে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার সাফিয়া আক্তার অপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়