শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০১৯
নওগাঁর রাণীনগরের আটটি ইউনিয়ন পরিষদে দেয়া আটটি এ্যাম্বুলেন্সই বছর ধরে অকেজো হয়ে পরে আছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সগুলো মেরামত কিম্বা চালু করার কোন উদ্দ্যোগ না নেয়ায় একদিকে যেমন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে অন্যদিকে, সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ জনপদে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে লোকাল গর্ভন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি) প্রকল্প -২ এর আওতায় রাণীনগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে আটটি এ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয়া হয়। এর পর প্রতিটি এ্যাম্বুলেন্স প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়। বিশেষভাবে তৈরি ব্যাটারী চালিত এসব এ্যাম্বুলেন্স আনুষ্ঠাকিভাবে হস্তান্তর করা হয় পরিষদগুলোতে। গ্রামীন জনপদের অসহায়-দুস্থ,দরিদ্্র মানুষ এবং প্রসুতি মা-শিশুর দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে এউদ্দ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স তৈরিতে নিন্মমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায় মুখ থুবরে পরেছে প্রকল্পটি।
এ্যাম্বুলেন্স চালকরা বলছেন, এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাটারী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পরে আছে। ব্যাটারীর দাম বেশি হওয়ায় এ্যাম্বুলেন্সগুলো কেউ মেরামত কিম্বা চালু করার ব্যবস্থা করছেনা। এভাবে আর কিছু দিন পরে থাকলে হয়তো পুরো গাড়ীটায় নষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে একদিকে যেমন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে, অন্য দিকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল, একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, মিরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, এ্যাম্বুলেন্সগুলোর ব্যাটারী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পরে আছে। কোন ফান্ড না থাকায় মেরামত কিম্বা চালু করা যাচ্ছে না। তবে অচিরেই এ্যাম্বুলেন্স গুলো চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন জানান, এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে দ্রুত মেরামত করার উদ্দ্যোগ নেয়া হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়