শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২০
নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবু চাষ। এই উপজেলায় ধান চাষ বেশি হলেও গত দুই তিন বছর ধরে ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে চাষিরা একটু বাড়তি আয়ের জন্য নানান জাতের শাকসবজির পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ শুরু করেছে।
প্রথম দিকে পরীক্ষামূলক লেবু চাষ হলেও বর্তমানে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্চ মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসের কারণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ রসালো লেবুর কদর বাড়ার সাথে সাথে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হওয়ার কারণে সামনে মৌসুমে লেবু চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে এমনটাই বলছেন রাণীনগর কৃষিবিভাগ।
লেবু চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকার কারণে রোগ বালাই কম হওয়ায় চাষিরা দাম এবং ফলন দুটোই ভালো পেয়েছে। বিশেষ করে চায়না-৩ জাতের লেবুর আশানূরুপ ফলন হওয়ায় এবং স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় নগদ টাকায় বিক্রি করতে পেরে একজনের দেখে প্রতিবেশি চাষিরা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় লেবু চাষের দিকে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। ফলে দিন দিন রাণীনগর উপজেলায় দোআঁশ জাতের উচুঁ জমিতে লেবু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে উচুঁ জমিতে শাকসবজির পাশাপাশি লেবু চাষ করছে স্থানীয় চাষিরা। চলতি মৌসুমে লেবু চাষের অনূকুল আববহাওয়া থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে কমবেশি লেবু চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে কাশিমপুর ইউনিয়নে লেবু চাষের সংখ্যা সবচে বেশি।
কৃষি অফিস সূত্র বলছে, এবছর উপজেলায় প্রায় ১৭ হেক্টর জমিতে চায়না -৩ জাতসহ নানান জাতের লেবু চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ আর চাষিদের নিবিড় পরিচর্যার কারণে লেবুর ফলন বিগত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। দাম বেশি এবং ঝামেলা মূক্ত ফসল হওয়ায় চাষিরা দিনদিন এই লেবু চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।
উপজেলার কুজাইল গ্রামের লেবুচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, আমি দুই বছর ধরে শাকসবজির পাশাপাশি কিছুটা লেবু চাষ করতাম। তাতে লাভবান হওয়ায় গত বছর চকমুনু মৌজায় প্রতি বিঘা ১বছর মেয়াদী ৮ হাজার টাকায় ৬ বিঘা জমি লীজ নিয়ে লেবুর চাষ শুরু করি।
মার্চ মাসের পরে ব্যাপক পরিমাণ ফল আসার সাথে সাথে বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় বিশেষ করে ভাইরাসের কারণে প্রতিদিন আমার জমি থেকে প্রায় ৩ হাজার পিচ লেবু তুলে খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি করছি।
এতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে লেবু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। এখন পর্যন্ত বাগানে যে পরিমাণ ফল আছে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার পিস লেবু বিক্রি করছি। আগামী মৌসুমে বাগান বৃদ্ধির লক্ষে আরো জমি লীজ নেওয়ার জন্য খুজতেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, রফিকুল ইসলাম খুব ভালো চাষি। তার লেবুর বাগান দেখলে মন জুড়ে যায়। ফল ভালো হওয়ার কারণে সে চলতি মৌসুমে লেবু বিক্রি করে লাভবান হয়েছে।
তার লেবু চাষ দেখে প্রতিবেশিরাও লেবু চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। আশা করছি আগামী মৌসুমে লেবু চাষের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়