শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
সারাদেশের মতো নওগাঁর রাণীনগরেও চলছে টিসিবির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এই পণ্যগুলো বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
আবার অনেকের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তাই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এই পণ্য বিক্রির প্রতি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকেই। যেহেতু বর্তমানে করোনা ভাইরাস গ্রামে ছড়িয়ে আছে তাই পণ্য নিতে গ্রাম থেকে আসা এই মানুষগুলোর মাধ্যমে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প ও সঠিক দামে তেল, চিনি, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত মানুষদের কাছে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয় টিসিবি সেবা।
নির্দিষ্ট ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান গাড়িতে এই পণ্যগুলো একটি প্যাকেজের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ও অন্যান্য স্থানে সপ্তাহে ৩দিন করে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু এই পণ্যগুলো বিক্রির সময় মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো প্রকারের স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করছেন না অনেকেই। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও একেবারেই মানা হচ্ছে না। ভ্রাম্যমান গাড়ি এলেই শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ক্রয় করছেন এই পণ্য।
আবার স্বজনপ্রীতি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন মহল।
পণ্য কিনতে আসা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন অনেক ক্রেতাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করার পর পণ্য পেতে হচ্ছে। আবার অনেক প্রভাবশালী আড়ালে থেকেও পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন।
তারপরও অনেক ডিলার বেশি মুনাফার আশায় পণ্য মজুদ রেখেও বলে শেষ হয়ে গেছে। পরে তারা সেই পণ্য বেশি দামে দোকানে কিংবা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও উপজেলা কিংবা পুলিশের কোনো সদস্য টিসিবি পণ্য বিক্রির সময় উপস্থিত না থাকা কিংবা সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ না করার কারণে সবাই আগে পাওয়ার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তাই পণ্য নিতে আসা মানুষ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব একদম মানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন প্রথম দিকে একাধিক ডিলারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জরিমানা করেছি। এরপর থেকে সঠিক ভাবে এই পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে আমি একজন কর্মকর্তাকে মনিটরিং এর দায়িত্বে রাখি।
কিন্তু পণ্য নিতে আসা এতোগুলো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা একজন মানুষের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। পরবর্তিতে আমি স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব পালনে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়