শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানানো হচ্ছে না বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের। জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১২ ডিসেম্বরের রায়কে ঘিরে বিগত ২ সপ্তাহ যাবত বিএনপি সমগ্র বাংলাদেশে নাশকতা ও গাড়ি ভাঙচুর চালালেও এ সব বিষয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে খানিকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন তারা।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে শপথ, সংসদে যোগদান এমনকি বছরের শেষে এসে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানানো হচ্ছে না। অনেকে বলছেন, খালেদা জিয়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আবার অনেক নেতা বলছেন তারেক রহমান নিষেধ করেছেন, কিন্তু আমরা জানি না কার ইন্ধনে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হচ্ছে না।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে দলের একাধিক সিদ্ধান্তে সিনিয়র নেতাদের জানানো হচ্ছে না। মূলতে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন দলের ভেতরে সরকার পক্ষের চর রয়েছে। আর এই কারণেই সিদ্ধান্তগুলো আসছে লন্ডনে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে। নেতাদের কেউ কেউ হয়তো জানতেন কী হতে যাচ্ছে। নেতারা বলছেন, বিষয়গুলো নিয়ে একধরণের লুকোচুরি দৃশ্যমান ছিলো। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে বিএনপিকে কোন উচ্চতায় নিতে চাচ্ছে তা অনেকের কাছে বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিগত কয়েকবছর যাবত অসংখ্য নেতা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে। বিএনপিতে এখন কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না, এটা সত্য। দলের সিনিয়র অনেক নেতাই বয়সের ভারে নড়তে পারে না। তাই তারা ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আর এই চিন্তা করেই অনেক নেতাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানানো হচ্ছে না। তবে আমরা আশা করছি বিপথগামী নেতাদের শনাক্ত করার কাজ সম্পন্ন হলে সকল নেতাকেই দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হবে।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়