শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ঢাকা সফরের কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারকে। এরপর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে জনমনে উসকানি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের লেলিয়ে দিয়েছে মিডিয়ায় মোদিবিরোধী ইস্যু নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়াতে। এ নিয়ে সচেতন রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এরই অংশ হিসেবে তারা কৌশলে নিজেদের নামসর্বস্ব বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন মিডিয়ায় ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি গরম করে রাখার জন্য। এ কাজে তাদেরকে লন্ডনস্থ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। সরাসরি সমালোচনা এড়াতেই মূলত তারা এই পথ বেছে নিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, মুজিববর্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর বাতিল হোক। এ কারণে তারা জনমনে মেকি ধর্মীয় ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের তথ্যমতে, নরেন্দ্র মোদি বিরোধী এই অপপ্রয়াস জামায়াত-বিএনপির একদিনের চক্রান্ত নয়। তারা এর আগে একাধিকবার দিল্লীতে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে নিজেদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের। কিন্তু ভারত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বিএনপির অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফর্দ পর্যবেক্ষণ করেছে। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সাপ তথা বিএনপিকে বিশ্বাস না করার। কারণ তারা জানে, বিএনপি সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলে নালিশের দীর্ঘ তালিকা নিয়ে আসে ক্ষমতাসীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি ভারতের শরণাপন্ন হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ তারা বুঝে গেছে, প্রতিবেশী দেশের সমর্থন ছাড়া রাজনৈতিক পথচলায় সুদিন আসবে না। কিন্তু বিএনপি ভুলে গেছে তাদের অতীত কর্মের কথা। এই ভারতকেই তারা একসময় পাশ কাটিয়ে গেছে। নাক সিটকে সে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এ দেশে এলেও গভীর অহংবোধে খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ করেননি। বিষয়টিকে বিএনপি ভুলেও ভারত ভোলেনি। এ সমস্ত কারণেই বুধবার (০৪ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক বাতিল করে বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন। এ সমস্ত কারণে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে জামায়াত-বিএনপি চক্রটি। অনলাইনের পাশাপাশি নিজেদের কথিত বুদ্ধিজীবীদেরকে ‘উচ্চ সম্মানী’র বিনিময়ে লেলিয়ে দিচ্ছেন মিডিয়ায় ভ্রান্ত তথ্য পরিবেশন করে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির।
এরই অংশ হিসেবে রোববার (৮ মার্চ) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতে আজ সব জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চলছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে। এর মূল হোতা হচ্ছেন নরখাদক নরেন্দ্র মোদি। তাই তাকে আসতে দেওয়া যাবে না। যে কোন মূল্যে তার সফল বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি দেশবাসীকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।
এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নালিশ ও মিডিয়া নির্ভর দল। তাদের জনসমর্থন শূন্য থাকায় তারা নানা কুপন্থা অবলম্বন করে জনসম্মুখে নিজেদের দুর্বলতাকে আড়াল করতে চায়। পাশাপাশি তারা ফন্দি আঁটতে থাকে সরকারকে নানা উপায়ে বেকায়দায় ফেলার। যারই অংশ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে অনলাইনে চালাচ্ছে নানা অপকর্ম। তবে এটা যে তাদের রাজনৈতিক অজ্ঞতা, তা তারা ভুলেও স্বীকার করছেন না। আর করবেনই বা কী করে, সেটুকু জ্ঞান কী তাদের আছে। ন্যূনতম সেই জ্ঞানটুকু থাকলে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি এভাবে নিমিষেই তারা বাতিলের অযৌক্তিক দাবি তুলতো না। তুলতে পারতো না।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়