শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ফাইল ছবি।
নওগাঁর মান্দায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। উপজেলার পীরপালি বাজার এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোঁচড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ইমদাদুল হক (২৮), মানিকের ছেলে বাচ্চু (৩০) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) এবং নলঘৈর গ্রামের মিঠানু প্রামানিকের ছেলে মোস্তফা প্রামানিক (৪০)।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামির নাম আসিফ হোসেন ওরফে সজল (৩০)। তিনি নওগাঁ শহরের চকমোক্তার এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে।
মান্দা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নওগাঁ সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি আসিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে মান্দা থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পীরপালি বাজারে অভিযানে যায়। মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন এ অভিযানে নেতৃত্বে দেন।
অভিযানে গিয়ে পীরপালি বাজারের লেবু মিয়া নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান থেকে রাত ৮টার দিকে আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে হাতকড়া লাগিয়ে থানায় ফিরছিল পুলিশ সদস্যরা। এ সময় আসিফের চিৎকারে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশের কাজে বাধে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে পালিয়ে যাওয়া হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি আসিফকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, পুলিশকে লাঞ্ছিত ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই নাজমুল হক বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৯-১০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি আসিফসহ তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় নওগাঁ সরকারি কলেজ এলাকায় মোনায়েম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন আসিফ হোসেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় পর দিন আহত ব্যক্তি মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসিফ পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি নওগাঁ সদর থানা থেকে পাঠানো বার্তায় আসিফকে গ্রেপ্তারের জন্য মান্দা থানা পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
naogaondorpon.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়